দক্ষিণ কোরিয়ার একটি কোম্পানি জন সাধারণের বাসে স্বচালিত বা সেলফ ড্রাইভিং প্রযুক্তির বাস্তবায়ন শুরু করেছে। এসইউএম (স্মার্ট ইওর মোবিলিটি) একটি প্রাইভেট ড্রাইভিং যানবাহন নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি যার কাজ, প্রাথমিকভাবে রাতের বেলা যাতে সেলফ ড্রাইভিং প্রয়োগ করা যায়। শান্ত রাস্তাগুলি এই প্রযুক্তির জন্য আদর্শ পরীক্ষার ক্ষেত্র। বিবিসির রিপোর্ট অনুসারে, বেশি সংখ্যক কর্মচারী রাতে কাজ করতে অনিচ্ছুক হওয়ায় এবং সেই সময়ও পরিষেবা চালু রাখার লক্ষ্যে এই প্রযুক্তি তৈরি করা হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে বর্তমানে আইন অনুসারে তবুও একজন চালককে সেই বাসে থাকতে হবে, তবে অনেক যাত্রী বুঝতেও পারেন না যে তারা যে বাসে আছেন সেটি নিজে থেকেই চলছে। এসইউএম-এর হেড অব অপারেশনস পার্ক কাং-উক (Park Kang-uk) বলেন, 'একদিন সিউলের সব বাস চালকবিহীন হয়ে যাবে।' Dubai Flood: খুব প্রয়োজন না হলে দুবাইতে যাবেন না, পরামর্শ ভারতীয় দূতাবাসের
Look, no hands! My trip on Seoul's self-driving bus https://t.co/YwHYZumgTT
— BBC News (World) (@BBCWorld) April 20, 2024
তিনি জানিয়েছেন, তার কোম্পানি গত চার বছর ধরে শহরের নতুন চালকবিহীন রাত্রিকালীন বাস তৈরি করেছে। কর্তৃপক্ষের দাবি এটি বিশ্বের যে কোনও জায়গায় এই ধরণের প্রথম বাস। এই ধরনের বাস এবং গাড়িগুলি এভি বা Autonomous Vehicles হিসাবে পরিচিত। পার্ক বলেন, 'বাস চালাতে চায় এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম, বিশেষ করে রাতে। সেই শূন্যতা পূরণে সহায়তা করার জন্য এটি নিখুঁত সমাধান। শান্ত রাত্রিকালীন রাস্তাগুলিও প্রযুক্তি পরীক্ষা করার জন্য আদর্শ জায়গা।' তবে বাসের কিছু নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, যাত্রীদের সবসময় বসে থাকতে হবে এবং সর্বদা সিটবেল্ট পরতে হবে। চালকের আসনে যিনি আছেন, তিনি কিছু ভুল হলে সঙ্গে সঙ্গে বাসের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেন। মিঃ পার্ক জোর দিয়ে বলেন, শীঘ্রই এর কোনও প্রয়োজন হবে না। প্রথমে স্টিয়ারিং হুইল নিজে নিজে নড়াচড়া করতে দেখে ভূত সন্দেহ আপনাকে আতঙ্কিত করার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু অচিরেই সেই অনুভূতি কেটে যায়। বলা বাহুল্য, বেশ কয়েকবার ড্রাইভারকে ব্রেক মারতে হয় কারণ বাস নিয়ন্ত্রণকারী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রতিটি ঘটনার জন্য প্রস্তুত নয়।