প্রতীকী ছবি(Photo Credit: Flicker)

বেজিং, ৩০ মে: রমজান (Ramadan) মাসে রোজা সম্পূর্ণ করতে পারছে না চিনের ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষ। অভিযোগ, সে দেশের প্রশাসনই তাঁদের ধর্ম পালনে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এদিকে এই ঘটনার কোনও কিছুই সৌদি আরবের অজানা নয়। তবে তারাও এনিয়ে টুঁ শব্দটি করছে না। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি চিনের উইঘুর প্রদেশে, এখানেই একদল মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। দীর্ঘদিন ধরে বসবাসের কারণে এলাকার নামানুসারে গোটা সম্প্রদায়কেই এখন উইঘুর (Uighur Community) সম্প্রদায় হিসেবে ডাকা হচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে চলছে পবিত্র রমজান মাস। এই মাসে সারাদিন রোজার উপবাস রাখেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। সূর্যাস্তের আগে জলপানও করেন না তাঁরা। কিন্তু উল্টো চিনের উইঘুরে, প্রশাসনিক প্ররোচনায় এখানকার বাসিন্দারা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই জল পান করে রোজা ভাঙতে বাধ্য হচ্ছেন। উইঘুরে দুটি মসজিদ আছে যার পরিচালনার রাশ সৌদি সুলতানের হাতে। উইঘুর মুসলিমদের অভিযোগ, চিনের প্রশাসনিক আধিকারিকরা একপ্রকার জোর করেই আগেভাগে ইফতার সারতে বাধ্য করছেন। উইঘুরে বেশ কিছু রেস্তোরাঁ আছে যেগুলি মুসলিমরাই পরিচালনা করেন। সেগুলিও জোর করে খোলা রাখতে বাধ্য করা হচ্ছে। শুধু খোলা রাখতেই নয়, সময়ের আগে ইফতার না করলে প্রাণনাশেরও হুমকি চলছে এন্তার। না খেলে বিনা অপরাধে গ্রেপ্তারি ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজাও দেওয়া হবে। বাধ্য হয়েই রোজা ভেঙে দিচ্ছেন এখানকার মুসলিমরা।

এদিকে চিনকে(China) চটাতে নারাজ সৌদি, তাইতো আরব-সহ ইসলামিক রাষ্ট্রগুলি এব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছে। উইঘুর মুসলিমরা আগেও অভিযোগ করেছিলেন, চিন সরকার মুসলিম পুরুষদের দাড়ি কাটতে এবং মেয়েদের হিজাব না পরতে বাধ্য করেছে। বহু মসজিদও ধ্বংস করে দিয়েছে চিন। অথচ আর্থিকভাবে অত্যন্ত সবল চিনের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিতে রীতিমতো শঙ্কিত সংযুক্ত আরব আমীরশাহী। এই ঘটনার পরেও সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন ওরফে এমবিএস এমাসেই চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং–কে ফোন করে বলেছেন, চিনের সঙ্গে অর্থনৈতিক-সহ সবরকম দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্ত করতে তাঁরা ইচ্ছুক। এমনকি খাশোগ্গি হত্যার পর বিশ্বজুড়ে এমবিএস–এর নিন্দা করা হলেও চিন তখন সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, এতে তাদের কিছু এসে যায় না। এমবিএস সেসময় চিনসফরে গেলে তাঁকে লাল কার্পেটে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন জিনপিং।