George Floyd Murder:  জর্জ ফ্লয়েডকে শ্বাষরোধ করে হত্যা করেছে মিনিয়াপলিসের পুলিশ, জানালো ময়নাতদন্তের রিপোর্ট
সেই নারকীয় দৃশ্যের অংশ (Photo Credits: Twitter)

মিনিয়াপলিস, ২ জুন: অ্যাফ্রো-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডের (George Floyd Murder) পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর ব্যক্তিগতভাবে পোস্টমর্টেমের বন্দোবস্ত হল। মৃতের পরিবারের তরফেই এই ব্যবস্থা করা হয়। তাতে রিপোর্ট বলছে, শ্বাসরোধ করে মারা হয়েছে জর্জ ফ্লয়েডকে। মূলত মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতেই জর্জের পরিবার এই পোস্টমর্টেমের ব্যবস্থা করেছিল। সোমবার অ্যাটর্নি বেন ক্রম্প ও সহ-পরামর্শদাতা অ্যান্টনিও রোম্যানুচির তত্ত্বাবধানে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে। এই দুজনই জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় আইনজীবির ভূমিকা পালন করছেন। সংবাদ মাধ্যমের কাছে খবর পৌঁছানোর আগেই তাঁর জানিয়ে দেন, শ্বাস রোধেই জর্জের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শরীরে অক্সিজেনের অভাব পরিলক্ষিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, ক্রমাগত হাঁটুর চাপে ঘাড়ে ও পিঠে সংকোচনের কারণে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছে অ্যাফ্রো-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েড। মিনিয়াপলিসের পুলিশ অফিসার ডেরেক শোভেন নিরস্ত্র ফ্লয়েডকে মাটিতে ফেলে, হাঁটু দিয়ে ঘাড় চেপে ধরেন। আট মিনিটের উপর এ ভাবে হাঁটুর চাপে শ্বাসরোধে মৃত্যু হয় ফ্লয়েডের। অটোপসি রিপোর্টের উল্লেখ করে, সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন জর্জ ফ্লয়েডের পারিবারিক আইনজীবী বেন ক্রম্প। এই অমানুষিক অত্যাচারের ভিডিও ক্লিপ ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। অচেতন হওয়ার আগে পর্যন্ত ফ্লয়েড বার বার হাঁফাতে হাঁফাতে বলতে থাকে তিনি দম নিতে পারছেন না। তবে ঘাতক পুলিশ ফ্লয়েডের আর্তি গ্রাহ্য করেনি।  ঘাড়ের উপর ক্রমাগত হাঁটুর চাপ পড়ায়, মস্তিষ্কে রক্ত যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। তার উপর পিছনে পুলিশ অফিসারের ভারী ওজনের কারণে শ্বাস নেওয়া জর্জের পক্ষে কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। আরও পড়ুন-Siliguri Fire: সাতসকালেই ভয়াবহ আগুনের গ্রাসে শিলিগুড়ি বাজার, সম্পূর্ণ ভষ্মীভূত ৭টি দোকান

একেবারে প্রকাশ্যে হাতকড়া পরানো জর্জ ফ্লয়েডের উপরে হওয়া এমন নৃশংস অত্যাচারের ভিডিও ভাইরাল হতেই বিক্ষোভের আগুনে জ্বলতে থাকে মার্কিন মুলুক। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে হোয়াইট হাউসের চৌহদ্দিতেও পৌঁছে যায় বিক্ষোভকারীর দল। বিক্ষোভের মূল কারণই ছিল, অ্যাফ্রো-আমেরিকানদের বাঁচাতে নয়া আইন আনতে হবে। একই সঙ্গে ফ্লয়েডের জন্য সুবিচারের দাবিতে সরব হয় বিক্ষোভকারীরা।