Boris Johnson: ব্রিটেনে জুনের ১ তারিখ পর্যন্ত সক্রিয় লকডাউন, বললেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
বরিস জনসনের ফাইল ছবি(Photo Credits: Getty Images)

লন্ডন, ১১ মে: ব্রিটেনে অন্তত ১ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে করোনাভাইরাস লকডাউন। রবিবার একথাই বলেছেন সেখানকার প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)। সাত সপ্তাহ আগে তিনিই প্রথম এই মারণ ভাইরাস থেকে বাঁচতে সতর্কতা অবলম্বনের বন্দোবস্ত করেন। তিনি এক টেলিভাইসড সাক্ষাৎকারে বলেন, “এই সপ্তাহ লকডাউনে ইতি টানার সময় নয়। জুনের এক তারিখ থেকে কিছু দোকানপাট খুলবে। কিছু প্রাইমারি স্কুলে ক্লাসও শুরু হতে পারে। ১ জুলাই থেকে কিছু জনবহুল জায়গা খুলবে। তবে যাঁরা বিমানে ফিরবেন তাঁদের কঠোর কোয়ারেন্টাইনে থাকতেই হবে।” লকডাউন কীভাবে উঠবে তা ঠিক করতে বেশ চাপে পড়েছে বরিস জনসনের সরকার।

করোনার জেরে ব্রিটেনে ৩২ হাজার মৃত্যু ঘটে গিয়েছে। মারণ ভাইরাসের কবলে সবথেকে বেশি মৃত আমেরিকায়। সেই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রিটেন। তবে সমগ্র ইউরোপ মহাদেশে ব্রিটেনই কোভিড-১৯ বিপর্যয়ের বিচারে প্রথম স্থানে রয়েছে। তবে এই মুহূর্তে আক্রমণের ভয়াবহতা থেকে অনেকটাই বেরিয়ে এসেছে। কিন্তু তাতে কি, বরিস জনসনের মতে, এই যে লকডাউন করে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখে দেওয়া হল। লকডাউনের জেরে মানুষকে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এখন একটা ভুল সিদ্ধান্ত নিলে সেই ত্যাগ স্বীকার বিফলে যাবে, যাকে এককথায় পাগলামি বলা হয়। মহামারী রুখতে বরিস জনসন শর্তাধন পরিকল্পনা করেছিলেন। তানিয়ে সোমবার সংসদে আলোচনা করবেন তিনি। কোভিড-সতর্কতার জন্য পাঁচ পর্যায়োর সুরক্ষার বন্দোবস্তও হয় সেই মতো। আরও পড়ুন-US Vice President Mike Pence: প্রেস সচিব করোনায় আক্রান্ত, তবুও কোয়ারেন্টাইনে গেলেন না মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স00

তিনি বলেন, করোনার প্রাবল্যে ব্রিটেন চতুর্থ পর্যায়ের সতর্কতা ছিল। তৃতীয় স্তরে ফেরার জন্য সতর্ক পদক্ষেপের প্রয়োজন ছিল। এমনকী যে কারণে দেশজুড়ে গোষ্ঠী সংক্রমণের রিপোর্টও ভিন্ন। প্রথম পর্যায়টি যেমন ছিল, নতুন গাইডলাইনেও তাই বলা হয়েছে। যাঁরা পারবেন তাঁরা বাড়িতে থেকেই কাজ করুন। আর যাঁরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে পারেবন না, অর্থাৎ যাঁদের গণপরিবহন ব্যবহার করতে হবে, তাঁদের বিষয়টি ভিন্ন। বুধবার থেকে ওয়ার্কআউট, সানবাথ ও খেলাধুলার অনুমতি মিলবে। তবে শুধু পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই তা করতে পারেন। জুলাই থেকে হয়তো সামান্য কিছু হোটেল খুলবে, তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। যদি এর পরেও সংক্রমণ বাড়তে থাকে তাহলে স্থানীয়ভাবে ফের লকডাউন জারি হতে পারে। তিনি আরও বলেন, “আমরা হয়তো বিপর্যয়ের শিখর পেরিয়ে এসেছি। তবে সমতলে পৌঁছানোর আগে বিপদ কিন্তু আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়।”