Donald Trump Dance (Photo Credit: X/Screengrab)

Donald Trump: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় ঘোষণা। ভারত, চিন সহ বিভিন্ন দেশগুলির পণ্য রফতানিতে তিনি যে চড়া হারে (Trump Tariff) শুল্ক চাপিয়েছেন, সেই লাভের অর্থের একটা অংশ তিনি দেশবাসীকে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। দেশের শুধুমাত্র ধনী ব্যক্তিরা ছাড়া সব মার্কিন নাগরিকদের দু হাজার মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা) -এর একটি চেক দেওয়া হবে বলে ট্রাম্প ঘোষণা করলেন। শুল্ক আয় থেকে আমেরিকানদের জন্য ২ হাজার ডলারের 'ট্যারিফ ডিভিডেন্ড' প্রস্তাব করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প এই অর্থকে "ডিভিডেন্ড টু দ্য পিপল অফ আমেরিকা" বলে বর্ণনা করেছেন, যা প্রচলিত প্রণোদনা (stimulus) চেক নয়, বরং "দেশের সম্পদের অংশীদারিত্বের প্রতীক" হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। মার্কিন প্রশাসনের দাবি, আমেরিকান শ্রমিকদের সুরক্ষায় গৃহীত বাণিজ্যনীতির লাভ জনগণের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে।

ট্রাম্পের তিন বড় দাবি

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও জানান, তাঁর প্রশাসনের প্রধান লক্ষ্য জাতীয় ঋণ কমানো। 'ট্যারিফ ডিভিডেন্ড' বা শুল্কের লাভ ভাগ করে দেওয়া হবে দ্বিতীয় ধাপের পদক্ষেপ হিসেবে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, শুল্কে লভ্যাংশ সরাসরি আম মার্কিন নাগরিকদের দিয়ে দেশবাসীর তার ওপর চলা ক্ষোভের হাওয়া কাড়তে চাইলেন ট্রাম্প। হোয়াইটহাউসের কর্তা এই বিষয়ে বলছেন, মার্কিন জনগণের টাকাই জনগণের হাতেই ফিরছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক স্থানীয় নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে ট্রাম্পের। বিভিন্ন রেটিংয়েও পরিষ্কার, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। আর এত দ্রুত ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কমার পিছনে তাঁর শুল্ক নীতির ফলে দেশের ব্যবসা, চাকরির প্রভাবে বড় ক্ষতির কারণে হচ্ছে।

রাজস্ব থেকে আয় এক ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে

ট্রাম্পের দাবি, অতিরিক্ত শুল্ক থেকে প্রাপ্ত অর্থ সম্পূর্ণভাবে দেশবাসীর কাছেই দেওয়া হবে। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, ২০২৫ অর্থবছরে আমেরিকার মোট শুল্ক আয় ১ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি হতে পারে। ইতিমধ্যেই চলতি বছরে প্রায় ২১৫ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব এসেছে। সমালোচকরা বলছেন, এটি মূলত সেই অর্থই ফেরত দিচ্ছে যা জনগণ ইতিমধ্যেই উচ্চমূল্যের পণ্য কিনে পরিশোধ করেছে।