তুষার ধসে চাপা পড়া বাড়ি (Photo Credit: Twitter)

মুজাফ্ফরাবাদ, ১৬ জানুয়ারি: পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে উপত্যকায় তুষারপাত অব্যাহত।  বাদ যায়নি নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারের পাক অধিকৃত কাশ্মীরও (Pakistan-occupied Kashmir)। সেখানে গত কয়েকদিন ধরে চলছে তুষারপাত। বুধবার ঘটল ভয়াবহ ঘটনা, তুষারধসে (avalanche) চাপা পড়ে একসঙ্গে ৭৪ জনে মৃত্যু হয়েছে বলে রয়াটার্স সূত্রের খবর। তবে মিরাক্যলও ঘটেছে। ১৮ ঘণ্টা তুযার ধসে চাপা পড়েও জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে বছর ১২-র নাবালিকা। তার নাম শামিনা বিবি। ভারী তুষারপাতে গত কয়েকদিন ধরেই বিপর্যস্ত মুজাফ্ফরাবাদের জনজীবন। নিরাপদ আশ্রয় স্থলের জন্য প্রশাসনের তরফে কাঁচা বাড়ির বাসিন্দাদের একটি তিনতলা ভবনে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়। তিন ছেলেমেয়ে ও পরিবারের অন্যন্যদের সঙ্গে সেই বাড়িতেই আশ্রয় নিয়েছিলেন শাহানাজ বিবি।

প্রবল ঠান্ডা থেকে বাঁচতে আগুন জ্বালিয় গোল হয়ে বসে সবাই যখন ঊষ্ণতা খুঁজছেন, তখনই ঘটল বিপত্তি। বিরাট তুষার ধস নামল বাড়িটির উপরে। সবাই চাপা পড়ে গেলেন। কয়েকজন কোনওক্রমে বেরতে পারলেও। বেশিরভাগই তখন ধসের নিচে আটকা পড়ে আছেন। খবর পেয়েই পাকিস্তানের বিপর্য মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধার নামে। এখনও পর্যন্ত ৭৪ জনের দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। মৃতদের তালিকায় রয়েছে শাহানাজ বিবির এক ছেলে ও মেয়ে। আর এক মেয়ে শামিনার কোনও খোঁজ মিলছিল না। দুই সন্তানের মৃতদেহ দেখার পর শামিনার বেঁচে থাকার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন তিনি। তবে এদিন উদ্ধারের পর দেখা যায় পা ভাঙলেও প্রাণে বেঁচে আছে ওই নাবালিকা। সাংবাদিকদের সে জানায়, “ভেবেছিলাম মরেই গিয়েছি। তবে চাপা পড়া অবস্থাতে একবারও ঘুমিয়ে পড়ার কথা ভাবিনি। ভয় হচ্ছিল যদি ঘুম না ভাঙে। আরও পড়ুন-New Russian Prime Minister: রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী পদে মিখায়েল মিশুস্তিন, নাম ঘোষণা করলেন ভ্লাদিমির পুতিন

শাহানাজ বিবি জানান, গোটা ঘটনাটি এক লহমায় ঘটে যাওয়ায় কেউই প্রায় পালানোর সুযোগ পায়নি। মেয়েকে যখন জীবন্ত ফিরে পেলাম তখন দেখি ওর পা ভেঙেছে, মুখ থেকে রক্তপাত হচ্ছে। নীলম উপত্যকার তুষার ধসে ৭৪ জনের প্রাণ গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত সবমিলিয়ে তুষার ধসে প্রাণহানির সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। আগামী শুক্রবার বড়সড় তুষারধসের আশঙ্কা করছে সেখানকার প্রশাসন।