(Photo Credits: Nobel Academy)

স্টকহোম, ১১ অক্টোবর: Nobel Peace Prize 2019 Winner-২০১৯ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার (Nobel Peace Prize) পেলেন ইথিওপিয়ার প্রাধানমন্ত্রী আবি আহমেদ আলি (Ethiopian Prime Minister Abiy Ahmed Ali)। শান্তি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অর্জনের প্রচেষ্টা এবং বিশেষত প্রতিবেশী দেশ ইরিত্রিয়ার সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা ও হিংসা বন্ধে নিষ্পত্তিমূলক উদ্যোগের কারণেই নোবেল কমিটি তাঁকে সম্মানজনক এই পুরস্কার প্রদান করেছে। ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জোটের নেতা হেইলেমারিয়াম ডিসালেন (Hailemariam Desalegn) হঠাৎ জোটের প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন। তিন বছর ধরে দেশটির আদিবাসী গোষ্ঠীগুলির মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। হেইলেমারিয়াম রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে ৬ মাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। হেইলেমারিয়ামের পদ ছাড়ার পরই তার উত্তরসূরি হিসেবে ক্ষমতা পান ওরমো ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ৪২ বছর বয়সী আবি। মানবাধিকার লঙ্ঘন, ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে ইথিওপিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর সরকারে বেশ কিছু পরিবর্তন আনেন আবি আহমেদ। এর মধ্যে কিছু ওয়েবসাইট ও টেলিভিশন চ্যানেলও অবরোধমুক্ত করেন তিনি।

পুরস্কার ঘোষণা করে নোবেল কমিটি জানিয়েছে, তারা আশা করে যে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ আলি শান্তি ও পুনর্মিলনের জন্য তাঁর গুরুত্বপূর্ণ কাজকে আরও শক্তিশালী করবেন। নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, আবি আহমেদ আলি একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার শুরু করেছেন যা অনেক দেশের নাগরিকদের উন্নত জীবন এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রত্যাশা দেয়। নোবেল কমিটি বিশ্বাস করে যে এই পুরস্কার আবি আহমেদ আলির প্রচেষ্টার স্বীকৃতি এবং তাঁকে আরও উৎসাহ দেবে। আরও পড়ুন: Nobel Prize 2019: সাহিত্যে নোবেল পেলেন ওলগা তোকার্কজুক ও পিটার হান্দকে

আবি আহমেদ আলি দুদেশের দীর্ঘদিন ধরে চলা সমস্যা মেটাতে ইরিত্রিয়ার রাষ্ট্রপতি ইসাইয়াস আফওয়ারকির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাব কাজ করেছেন। এবং ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়ার মধ্যকার যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য একটি শান্তি চুক্তির নীতিমালা তৈরি করেন। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তিনি পুনর্মিলন, শান্তি এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রচার করার চেষ্টা করেছেন।