Gaza (Photo Credit: X)

প্যালেস্টাইনের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধ পুরোপুরি থামাতে রাজি হলেন ইজরায়েল। দেশের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বললেন, হামাস পাঁচটা শর্ত মেনে নিলে গাজায় আমরা যুদ্ধ থামিয়ে দেবো। মোটের ওপর ইজরায়েলের পরোক্ষ দাবি হল, গাজার দখল তাদের দিতে হবে। ২০২৩ সালে ৭ অক্টোবর সীমান্ত টপকে ইজরায়েলের ঢুকে অসহায় সাধারণ মানুষদের ওপর নৃশংস অত্যাচার, হত্যালীলা চালিয়ে গাজায় পালিয়ে গিয়েছিল হামাস জঙ্গিরা। তারা অনেক নিরাপরাধ ইজারেয়েলিদের পণবন্দিও করেছিল। তারপর থেকে টানা প্রায় বছর দুয়েক ধরে গাজা, রাফা সহ প্যালেস্টাইন ভূ খণ্ডে কখনও আকাশপথে বোমারু বিমান পাঠিয়ে, আবার কখনও পদাতিক সেনা পাঠিয়ে সেই অঞ্চল ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে।

গত দু বছর ধরে গাজায় ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে ইজরায়েল

গাজায় সব ছোট-বড় বাড়ি থেকে অফিস-ব্যাঙ্ক, বাজার, দোকান, স্কুল-কলেজ এমনকি প্রায় সব হাসপাতালে বোমারু বিমানের হামলায় ভেঙে ফেলেছে ইজরায়েল। ৬০ হাজারের কাছাকাছি মানুষ গাজায় মারা গিয়েছে। ইজরায়েলের সেনা সীমান্ত আটকে বাইরের দেশের সাহায্য আসতে না দিয়ে এই হানার পর গাজায় দেখা দিয়েছে অনাহার। প্রবল আন্তর্জাতিক চাপের কাছে নতিস্বীকার করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধ থামাতে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে চাপ দিচ্ছেন।

দেখুন খবরটি

গাজায় দখল চায় ইজরায়েল

ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে যুদ্ধ শেষ করার জন্য পাঁচটি মূল শর্ত আরোপ করেছে।

আসুন জেনে নেওয়া যায় সেইসব শর্তগুলি--

১) হামাসকে সম্পূর্ণভাবে নিরস্ত্র করতে হবে।

২) গাজায় আটক সব পণবন্দিকে ফিরিয়ে আনতে হবে। জীবিত হোক বা মৃত।

৩) গাজা উপত্যকায় ইজরায়েলের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা।

৪) গাজা উপত্যকা থেকে সব ধরনের সামরিক শক্তি সরিয়ে দেওয়া।

৫) হামাস বা প্যালেস্টাইন কর্তৃপক্ষ নয়— এমন একটি বিকল্প বেসামরিক প্রশাসন গঠন।