Muslim Woman, Representational Image (Photo Credit: X)

Powerful Muslim Countries: বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুসলিম দেশ কোনগুলি? বিশ্বে ক্রমাগত বেড়ে চলা জনসংখ্যার নিরিখে, কোন মুসলিম দেশগুলি সবচেয়ে শক্তিশালী, তার একটি তালিকা সম্প্রতি সামনে এসেছে। আলি জাজিরার রিপোর্ট অনুযায়ী, মুসলিম দেশগুলির উন্নতিতে জোয়ার এসেছে বর্তমানে। গত ১০ বছরে বিশ্বের মুসলিম দেশগুলির উন্নয়ন ৩০০% বেড়েছে। যে দেশগুলিতে ৫০% করে মুসলিম জনসংখ্যাপ মানুষের বসবাস, তাদের মধ্য়ে ৩০টি সবচেয়ে শক্তিশালী ইসলামিক দেশ রয়েছে।

মুসলিম (Muslim Countries) জনসংখ্যা গরিষ্ঠ যে দেশগুলি পৃথিবীতে সবচেয়ে শক্তিশালী হিসেবে নিজেদের তুলে ধরেছে, তার মধ্যে প্রথমে নাম রয়েছে তুর্কীর (Turkey)। মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক বৃত্তে তুর্কীর অবস্থান বিশ্বের নজর কেড়েছে। এই মুহূর্তে সেনা শক্তিতে তুর্কীর বিশ্বের মধ্যে অন্যতম প্রধান জায়গা কের নিতে শুরু করেছে। তুর্কীর ড্রোন ব্যবহার করে অপারেশন সিঁদূরের সময় পাকিস্তান, ভারতের উপর হামলার চেষ্টা চালায়। যদিও সেই সমস্ত ড্রোন মাঝ আকাশেই ধ্বংস করে দেয় ভারত। ২০১৪ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে তুর্কীর সেনা বাহিনীর ক্ষমতা হু হু করে বাড়তে শুরু করে বলে জানা যায়।

দ্বিতীয়তে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া (Indonesia)। এই দেশের সেনা শক্তি তেমন না থাকলেও, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি উচ্চতায় পৌঁছতে শুরু করেছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের পরিসংখানে ২০২৬ সালের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার বৃদ্ধি ৫ শতাংশের বেশি হবে।

তিন নম্বরে রয়েছে সৌদি আরব (Saudi Arabia)। তেল সমৃদ্ধ এই দেশ সব সময় গোটা বিশ্বের নজরে থাকে। এই দেশের মানুষের বিলাসবহুল জীবন, অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বিশ্বের নজর কেড়ে নিয়েছে। এসবের পাশাপাশি সৌদি আরবের শক্তিশালী আর্থিক বৃদ্ধি, সেনা বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধিও এই মুসলিম দেশকে আন্তর্জাতিক মহলের নজরে নিয়ে এসেছে।

পাকিস্তান (Pakistan) রয়েছে ৪ নম্বরে। বিশ্বের যে শক্তিশালী মুসলিম দেশগুলি রয়েছে, তার মধ্যে পাকিস্তান ৪ নম্বরে। এই দেশের সেনা বাহিনী অন্যতনম শক্তিধর। অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে পাকিস্তান ক্রমাগত পিছিয়ে পড়লেও, সেনা শক্তিতে এশিয়ায় ৬ নম্বর শক্তিশালী দেশ হল ভারতের শত্রু পাকিস্তান।

পাঁচ নম্বরে রয়েছে ইরান (Iran)। ইজরায়েল যখন হামলা চালায় ইরানে, তা কীভাবে পালটা সেনা শক্তি, প্রযুক্তি দিয়ে ইরান রুখে দিয়েছে, তা প্রত্যক্ষ করেছে গোটা বিশ্ব। পরমাণু শক্তিতে যেমন ইরান এগোতে শুরু করেছে তেমনি এই দেশের আর্থিক বৃদ্ধিও বিশ্বের নজর কেড়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সেনা শক্তি দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছে বলে পরিসংখ্যানে জানা যায়।

আলজেরিয়া রয়েছে ছয়ে। তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস সমৃদ্ধ আলজেরিয়ার উন্নতি হচ্ছে ক্রমাগত। এই দেশের ৩০ শতাংশ জিডিপির বৃদ্ধি হচ্ছে এই তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের দ্বারা।

সাত নম্বরে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (UAE)। এই দেশে মানুশের শিক্ষার হার ৯৫ শতাংশ। যা এই দেশকে মুসলিম দেশ হিসেবে বিশ্বরে প্রথম সারিতে নিয়ে যেতে শুরু করেছে।

মালয়েশিয়া রয়েছে আট নম্বরে। উন্নত মুসলিম দেশগুলির প্রথম সারিতে ৮ নম্বরে রয়েছে মালয়েশিয়া। এই দেশে মাইক্রোসফট ইতিমধ্যেই বিনিয়োগ করেছে। এআই এবং ক্লাউডে ক্রমাগত এগোচ্ছে এই দেশ। অর্থাৎ তথ্য প্রযুক্তিক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার উন্নয়ন চোখে পড়ার মত।

বিশ্বের শক্তিশালী মুসিলম দেশগুলির মধ্যে ইরাক রয়েছে ৯ নম্বরে। সেনা শক্তি বৃদ্ধিতেও এই দেশ তরতর করে এগিয়ে  যেতে শুরু করেছে।

শক্তিশালী মুসলিম দেশগুলির তালিকায় ১০ নম্বরে রয়েছে কাজাকস্তান। সেনা শক্তিতে ক্রমাগত এগোচ্ছে এই দেশ।