লাহোর: পাকিস্তানের করাচি শহরের এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৪৫ জনেরও বেশি মহিলাকে ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতে অভিযুক্তকে আটক করা হয়। সে দেশের সংবাদ সংস্থা থেকে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত অধ্যক্ষের মোবাইল থেকে অনেক নারীর ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে। স্কুলের সিসিটিভিতেও (CCTV) সেসব রেকর্ড হয়েছে। মামলার তদন্তকারী পুলিশ (Police) কর্মকর্তারা সে দেশের সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ধর্ষণের পর নির্যাতিতাদের বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেলও করত। তার মোবাইল থেকে পুলিশ প্রমাণ পেয়েছে। অভিযুক্তের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
সূত্রের খবর, কিছুদিন আগে গণমাধ্যমে (Social Media) কয়েকজন নারীর আপত্তিকর ছবির তথ্য পায় পুলিশ। সেগুলো পরীক্ষা করে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, করাচির গুলশান-ই-হাদিদ এলাকায় অবস্থিত একটি স্কুলে ওই সব মহিলারা বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকতা করছিলেন। এরপর ওই বিদ্যালয়ের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জানা গিয়েছে, স্কুলের অধ্যক্ষের নাম ইরফান গফুর মেমন। স্কুলের বেশিরভাগই মহিলা শিক্ষক, পুরুষ শিক্ষক আছেন মাত্র পাঁচজন।পুলিশ স্কুলে অভিযান চালায় এবং সিসিটিভি ফুটেজ স্ক্যান করে। ফুটেজ দেখে বিভিন্ন আপত্তিকর ভিডিও পাওয়া গিয়েছে। এরপর ওই শিক্ষকের মোবাইল ও ল্যাপটপ চেক করা হয়। মোবাইল থেকে ২৫টি ভিডিও মিলেছে। ভিডিওগুলো সবই স্কুলের মহিলা শিক্ষকদের। এর পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ইরফানকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। স্কুলটিকে বন্ধ রাখা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই স্কুলের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আরও পড়ুন : Romania: ইউক্রেনে নতুন হামলা তার দেশের সীমান্তের খুব কাছেই, অভিযোগ রোমানিয়ার প্রেসিডেন্ট ক্লাউস ইওহানিসের
পুলিশের দায়ের করা মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, ব্ল্যাকমেইলিং ও ভয় দেখানোর মতো ধারা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মহিলা শিক্ষকদের ভিডিও করে ব্ল্যাকমেল করতেন। তদন্তের জন্য ইলেকট্রনিক সিস্টেমগুলো ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।