
শনিবারই মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইরাকে খুন হয়েছেন আইসিস জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রধান আবু খাদিজা (Abu Khadija)। সেই ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই নিকেশ আরও এক জঙ্গি। পাকিস্তানে খতম হল লস্কর-ই-তায়বার (Lashkar-e-Taiba) জঙ্গি আবু কাতাল (Abu Qatal)। জম্মু কাশ্মীরে বহু সন্ত্রাসী হামলার নেপথ্যে ছিলেন কাতাল। শুধু তাই নয়, ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন তিনি। শনিবার রাতে গুলিতে খুন হলেন কাতাল।
তদন্তকারী সংস্থায় খাতায় 'মোস্ট ওয়ান্টেড' তালিকায় প্রথম সারিতে নাম ছিল কাতালের। তার আসল নাম জিয়া-উর-রেহমান। পাকিস্তানে একাধিক নাম নিয়ে ঘুরতেন কাতাল। পাকিস্তানের (Pakistan) পঞ্জাব প্রদেশের ঝিলাম জেলায় অজ্ঞাত পরিচয়ের হামলাকারীদের গুলিতে খুন হন কাতাল। সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ তার এক নিরাপত্তারক্ষীকে নিয়ে যাওয়ার সময়ে তাদের গাড়ির উপর হামলা হয়। কেউ বা কারা কাতালকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। মারা যান কাতাল এবং তার গাড়ির চালক। হামলাকারীরা টানা ১৫-২০ রাউন্দ গুলি চালায় বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছেন কাতাল। গুলিতে তার গাড়ির চালক নিহত হলেও নিরাপত্তারক্ষী গুরুতর জখম হন। বাঁচানো মুশকিল।
কিন্তু এই জঙ্গি দমন অভিযান ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকতেন আবু কাতাল। লস্কর-ই-তায়বার জঙ্গি এবং পাকিস্তানি সামরিক কর্মীরা তার নিরাপত্তার জন্য নিযুক্ত ছিলেন। এত কিছুর পরেও পাকিস্তানের বুকে কে বা কারা গুলিবর্ষণ করল কাতালের উপর। কাতাল খুনের পিছনে কারা রয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।