Johnson & Johnson Chief Executive Alex Gorsky: বেবি পাউডারে ক্ষতিকারক অ্যাসবেস্টসের উপস্থিতি, এবার প্রশ্নের মুখের জনসন অ্যান্ড জনসনের সিইও অ্যালেক্স গোরস্কি
জনসন অ্যান্ড জনসনের সিইও অ্যালেক্স গোরস্কি (Photo Credit: Twitter)

নিউইয়র্ক, ২৮ জানুয়ারি: সুপ্রসিদ্ধ বেবি পাউডার জনসন অ্যান্ড জনসনে রয়েছে ক্যানসারের বিষ। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই গত কয়েক বছর ধরে নিদারুণ অস্বস্তিতে শতাব্দী প্রাচীন এই সংস্থা। বেবি পাউডারে যে ক্ষতিকারক অ্যাসবেস্টসের উপস্থিতি রয়েছে তা ২০১৮-তে প্রথম জানা যায়। তথ্যটি প্রকাশ্যে এনেছিল সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। সেই সময়ই দায় এড়াতে তড়িঘড়ি সংস্থায় নিজের যে শেয়ার ছিল তা বিক্রি করে দেন জনসন অ্যান্ড জনসনের চিফ একজিকিউটিভ অ্যালেক্স গোরস্কি। এক সাংবাদিক অ্যালেক্স গোরস্কিকে (Alex Gorsky) ইমেল করেছিলেন, এমন খ্যাতনাম প্রোডাক্টে সত্যি সত্যিই অ্যাসবেস্টসের উপস্থিতি আছে কি না তা জানতে। আর থাকলেও সেবিষয়ে সিইও কি মনে করছেন। ইমেল পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই নিজর শেযার বিক্রি করে দায় এড়ান গোরস্কি। এবার তাঁকেই কি না জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে।

শোনা যাচ্ছে বেবি পাউডারে ক্ষতিকারক অ্যাসবেস্টসের উপস্থিতি সংক্রান্ত বিষয়েই অ্যালেক্স গোরস্কিকে জেরা করা হল। স্বাভাবিকভাবেই ফের অস্বস্তিতে পড়েছেন জনসন অ্যান্ড জনসনের সিইও। এদিকে জনসন অ্যান্ড জনসন যে তার বেবি পাউডারে ক্ষতিকারক অ্যাসবেস্টস মেশাচ্ছে, তার পবড় প্রমাণ সাত তাড়াতাড়ি গোরস্কির শেয়ার বেচে দেওয়া। তিনি যে নিজেকে স্বচ্ছ প্রমাণ করতেই একাজ করেছেন তা স্পষ্ট। সোমবার সেনিয়েই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এদিকে এই প্রসঙ্গ উঠতেই পাল্টা বিরোধিতা করেছেন গোরস্কি। তিনি বলেছেন, এমনই শেয়ার বেচেছেন, শেয়ার বিক্রির আগে কোনও সাংবাদিকের ইমেল তিনি দেখেননি। আরও পড়ুন-Afghanistan Plane Crash: ৮৩ জন যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়ল বিমান

জনসন অ্যান্ড জনসন যে বেবি পাউডারে ক্ষতিকারক অ্যাসবেস্টস মেশাচ্ছে তার প্রমাণ বহুবার মিলেছে। এমনটাই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। এমন গুজব বাজার রটতেই মার্কিন হেলথ রেগুলেটরসের তরফে পরীক্ষর বন্দোবস্ত করা হয়। বাজার থেকে বেবি পাউডারের একটি বোতল কিনে পরীক্ষা করতেই তাতে অ্যাসবেস্টসের উপস্থিতির প্রমাণ মেলে। গত বছরেরই ঘটনা। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ৩৩ হাজার বেবি পাউডার বাজার থেকে তুলে নিতে বাধ্য হয় জনসন অ্যন্ড জনসন। তবে এটি প্রথম ঘটনা নয়, সাতের দশকে প্রথম বেবি পাউডারে ক্যানসারের বিষ পাওয়া গিয়েছিল। বিজ্ঞানীদের মতে, বার বার অ্যাসবেস্টস ব্যবহারে ক্যানসারের প্রবণতা বাড়ে। এনিয়ে ১৫ হাজার অভিযোগ জমা পড়লেও জনসন অ্যান্ড জনসন তাদের প্রডাক্টের বিরুদ্ধে একবারও মুখ খোলেনি।