Fukushima Nuclear Plant & Protest Against Water Releasing in Ocean (Photo Credit: AJ+/ Twitter)

জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয় জল সমুদ্রে ছাড়ার পরিকল্পনার আগে সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষজ্ঞদের ২১ সদস্যের একটি দল ছয় দিনের সফরে জাপান যাবে বলে শুক্রবার জানিয়েছে দেশটির সরকার। অফিস ফর গভর্নমেন্ট পলিসি কো-অর্ডিনেশন (ওপিসি) সূত্রে জানা গেছে প্রতিনিধিদলে দেশের পারমাণবিক নিরাপত্তা কমিশনের প্রধানের নেতৃত্বে, ডিসচার্জের পুরো প্রক্রিয়াটির নিরাপত্তা পর্যালোচনা করবে এবং তেজস্ক্রিয় পদার্থ বিশ্লেষণে জাপানের সক্ষমতা যাচাই করবে। চলতি মাসের শুরুতে সিউলে কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়োল ও প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার মধ্যে বৈঠকের পর এই পরিদর্শনের বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত পোষণ করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ান পরিকল্পিতভাবে দূষিত জল ছাড়ার ফলে সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত ঝুঁকি নিয়ে উদ্বিগ্ন।

দেখুন জাপানে তেজস্ক্রিয় জল ফেলা নিয়ে প্রতিবাদ

দুই দেশের কূটনীতিকরা এ সফরের বিস্তারিত রূপরেখা তৈরি করেন। পরিদর্শনকালে এই দল প্রথমে কারখানার অপারেটর টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবে। এই দল কাস্টম পিউরিফিকেশন সিস্টেমও পরীক্ষা করবে এবং এর মাধ্যমে জল পরিশোধন প্রক্রিয়ার ফলাফল মূল্যায়ন করবে। পরিদর্শন দলের কার্যক্রম পর্যালোচনা ও সহায়তার জন্য সরকারি বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি ১০ জন বেসামরিক বিশেষজ্ঞের একটি পৃথক দলও গঠন করা হবে। এদিকে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা পৃথকভাবে পরিদর্শন করছে।

২০১১ সালের মার্চে এক ভয়াবহ ভূমিকম্প ও তার পরের সুনামিতে ফুকুশিমা প্ল্যান্টের কুলিং সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে বিপুল পরিমাণ রেডিয়েশন বেরিয়ে আসে। বর্তমানে কারখানাটি কাস্টম পিউরিফিকেশন সিস্টেম দ্বারা পরিশোধিত ১.৩ মিলিয়ন টনেরও বেশি জল সংরক্ষণ করে। চলতি বছর জল ছাড়ার কাজ শুরু হবে এবং তা শেষ হতে কয়েক দশক সময় লাগবে। জাপানের কর্মকর্তারা দাবি করছেন, জল ছাড়ার প্রক্রিয়াটি একটি অনিবার্য পদক্ষেপ। সমুদ্রে ফেলার আগের জল পরিশোধন করা হয় কিন্তু তবুও তেজস্ক্রিয় উপাদান থেকে যায়। পরিবেশবাদী দলগুলি এই পদক্ষেপের নিন্দা করেছে। গ্রিনপিস বলেছে যে এটি "পরিকল্পিতভাবে প্রশান্ত মহাসাগরকে দূষিত করবে"।