Bangladesh Violence: বাংলাদেশের হাজিগঞ্জে মন্দিরে হামলার ঘটনায় ধৃত জামাত নেতা
Jamaat leader Kamaluddin Abbasi (Photo: IANS)

ঢাকা, ২২ অক্টোবর: দুর্গাপুজোর মণ্ডপে কোরআন রাখা ও তার পরবর্তী হিংসার ঘটনায় উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh)। ১৩ অক্টোবর অর্থাৎ অষ্টমীর দিন রাতে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে দুর্গাপুজো মণ্ডপে হামলা, হিন্দুদের বাড়ি দোকানে-ভাঙচুর-আগুন, মন্দিরে তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে। চাঁদপুরে হাজিগঞ্জে (Hajiganj) পুজো মণ্ডপে ভাঙচুর ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে এক জামাত নেতাকে। তার নাম কামাল উদ্দিন আব্বাসি (Kamaluddin Abbasi)। হাজিগঞ্জ উপজেলা ছাত্র শিবিরের প্রাক্তন সভাপতি ও জামাত নেতা (Jamaat-e-Islami) আব্বাসি ইতিমধ্যেই আদালতে নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে। হামলার ঘটনায় জড়িত অন্যদের নামও জবানবন্দিতে জানিয়েছে সে।

চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বিপিএম জানান, ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে শনাক্ত করার পর বুধবার রাতে কামাল উদ্দিন আব্বাসিকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে সে হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। বাকি অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি চলছে। গত ১৩ অক্টোবর রাত ৮টার পর হাজিগঞ্জ বাজারে মন্দিরে হামলা হয়। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ আসলে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে হামলাকারীরা। পুলিশের সঙ্গে গুলিতে পাঁচজন নিহত হয়। হামলার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে আব্বাসি হিংসায় নেতৃত্ব দিচ্ছিল। আরও পড়ুন: COVID-19: ফের করোনার প্রকোপ চিনে, সংক্রমণ রুখতে উড়ানে নিষেধাজ্ঞা, বন্ধ স্কুল, কলেজ

কুমিল্লায় পুজো মণ্ডপে যে কোরআন রেখেছিল সেই ইকবাল হোসেনকে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ইকবালকে কুমিল্লায় পাঠানো হচ্ছে। তাকে জেরা করেই বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ইকবালকে চিহ্নিত করে পুলিশ। অষ্টিমীর দিন মসজিদ থেকে কোরআন নিয়ে এসে পুজো মণ্ডপে রেখেছিল এই ইকবাল। এরপরই কোরআনের অপমানের গুজবে বাংলাদেশে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে।