Gaza (Photo Credit: Twitter)

দক্ষিণ গাজা (Gaza) থেকে ক্রমশ সরানো হচ্ছে ইজরায়েলি (Israel) বাহিনী। দক্ষিণ গাজা থেকে ইজরায়েলি সেনা যখন একটু একটু করে প্রত্যাহার করা হচ্ছে, সেই সময় সেখানে ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত শহর জুড়ে শুধু হাহাকার। সেই হাহাকারের মধ্যে মানুষ ভেঙে যাওয়া বাড়িঘরের খোঁজে, প্রিজনকে খুঁজতে দক্ষিণ গাজায় ফিরতে শুরু করেছেন। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে বসবাসকারী মাহা তাহের নামে এক মহিলা ইজরায়েল, হামাসের ভয়ঙ্কর যুদ্ধের শিকার। তিনি যখন দক্ষিণ গাজায় ফিরছেন পুরনো আস্তানা ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যে, সেই সময় তাঁর গলায় শোনা গল ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা।

মাহা তাহের বলেন, গোটা শহর জুড়ে মৃত্যুর গন্ধ। ভয়ের পরিবেশ। ধ্বংসাবেশেষের মধ্যে মৃত্যুর গন্ধ যেন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মহা তাহের। মাহা আরও বলেন, দক্ষিণ গাজায় আর কিছু অবশিষ্ট নেই। যেদিকে চোখ যাচ্ছে, শুধুই ধ্বংস। রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় চারপাশ ধ্বংসের ছবি দেখে তাই হু হু করে কেঁদে ফেলেন বছর ৩৮-এর মাহা তাহের ( ৪ সন্তানের মা)।

আরও পড়ুন: Israel-Gaza War: গাজার নাগরিকদের প্রাণ রক্ষা করতে হবে, ফোনে নেতানিয়াহুকে কড়া কথা বাইডেনের

মাহার কথায়, দক্ষিণ গাজা থেকে ইজরায়েল সেনা প্রত্যাহারের পর সেখানে মানুষ যখন ফিরতে শুরু করেছেন, সেই সময় ধ্বংসের নীচে কিছু খোঁজা হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপ খুড়ে মানুষ মৃতদেহ বের করার চেষ্টা করছেন। কেউ বা হু হু করে কাঁদছেন প্রিয়জনের মৃত্যুশোকে।

প্রসঙ্গত ৭ অক্টোবরের আগে দক্ষিণ গাজার এই খান ইউনিস শহরে প্রায় ৪ লক্ষ মানুষের বাস ছিল। কিন্তু ৭ অক্টোবরের পর ইজরায়েলের সঙ্গে প্ল্যালেস্তিনীয় জঙ্গিদের ভয়াবহ সংঘর্ষের জেরে মানুষের বসবাস তো নেই-ই, উলটে সেখানে মানুষ প্রিয়জনের শোক বুক চাপড়ে কাঁদতে শুরু করেছেন। সবকিছু মিলিয়ে গাজার খান ইউনিস শহর যেন মৃত্যুর গন্ধ বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে।