ইজরায়েলের (Israel) বিমান হামলায় মঙ্গলবার নিহত হয় হামাসের (Hamas) শীর্ষ নেতা সালেহ-আল-আরৌরি। হামাসের সেনর উইংয়ের শীর্ষ কমান্ডার তথা নেতা নিহত হওয়ার খবর ছড়াতেই তা নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। সালেহ-আল-আরৌরির হত্যার অনেক আগে থেকেই তাকে খুঁজছিল ইজরায়েল। এমনকী ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলার আগে থেকেই হামাসের এই শীর্ষ নেতাকে খুঁজে বের করে হত্যার হুমকি দেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর সেই খোঁজ আরও জোরদার হয়। গাঁজা, লেবাননের আনাচেকানাচে আইডিএফ খুঁজতে শুরু করে সালেহকে।
আরও পড়ুন: Israel-Hamas War: আকাশ পথে ইজরায়েলের এক নাগাড়ে হামলা, নিহত হামাসের শীর্ষ নেতা, দেখুন ভিডিয়ো
ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে হামাস যে হামলা চালায়,তার মাস্টারমাইন্ড এই সালেহ-আল-আরৌরি। এমনকী, ২০১৫ সালে সালেহ-আল-আরৌরিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া হয়। সালহের খোঁজ দিতে পারলে তাঁকে পুরষ্কৃত করা হবে বলেও আমেরিকার তরফে জানানো হয়।
মঙ্গলবার লেবাননের (Lebanon) দক্ষিণ বেইরুটে যেভাবে হামলা চালায় ইজরায়েল, তার জেরে প্রথম থেকেই প্রমাদ গুনতে শুরু করে হামাস। যদিও লেবানন সীন্তের মধ্যে হওয়ায় ওই এলাকা ইরানের জঙ্গি সংগঠন হেজবুল্লার কর্মীদের কড়া নজরদারির মধ্যে ছিল। তা সত্ত্বেও বিমান বাহিনীর পরপর হামলায় দক্ষিণ বেইরুটে হামাসের ৩ শীর্ষ নেতা নিহত বলে জানা যায়। যাদের মধ্যে মূল নেতা হিসেবে পরিচিত সালেহ।
সালেহ-র হত্যার পর এ বিষয়ে ইজরায়েলকে প্রশ্ন করা হলে, সাফ জবাব দেওয়া হয় আইডিএফের তরফে। হামাস নিধনে নেমেছে ইজরায়েল। ফলে প্যালেস্তিনীয় জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যরা আত্মসমর্পণ না করলে, কোনওভাবে তাদের রেহাই নেই বলে স্পষ্ট জানায় আইডিএফ।