গাজার (Gaza) জন্য ফের চরম সময়সীমা বেধে দিল ইজরায়েল (Israel) । আগামী ১০ মার্চের মধ্যে বন্দিদের যদি মুক্ত না করে হামাস (Hamas), তাহলে রাফায় নতুন করে চালানো হবে হামলা। ১০ মার্চের মধ্যে ইজরায়েলি বন্দিদের মুক্ত না করা হলে, রাফায় (Rafah) নতুন করে হামলা চলবে। এবার এভাবেই সুর চড়ালেন ইজরায়েলের মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ। হামাসকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে এবার গ্যান্টজ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ইজরায়েলের যত বন্দি রয়েছেন, প্রত্যেককে ১০ মার্চের মধ্যে মুক্ত করতে হবে।
গাজার দক্ষিণে অবস্থিত রাফা কার্যত জনবহুল। রাফায় যদি ইজরায়েল হামলা চালায়, তা পরিধি সুদূর বিস্তৃত হতে পারে বলে মনে করছে প্রায় গোটা বিশ্ব। ফলে ইজরায়েল রাফায় হামলা চালালে তার জেরে ১.৫ মিলিয়ন প্যালেস্তিনীয় আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা। ইজরায়েলের হামলা থেকে বাঁচতে বহু প্যালেস্তিনীয় যেহেতু রাফায় আশ্রয় নিয়েছেন, ফলে নতুন করে হামলা হলে, তার প্রভাব সুদূর প্রসারী হতে পারে বলে অনুমান।
দেখুন গাজার পরিস্থিতি...
This is how Israel's military left Al Mukhabarat Towers area, which used to be home to thousands of families in Gaza
— Sir Chilliebean (@Chilliebeanz) February 19, 2024
প্রসঙ্গত ইজরায়েলের পরপর হামলার জেরে গাজার একটি হাসপাতাল সম্পূর্ণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। হাসপাতালের অভাবে ওই এলাকার মানুষ ধুঁকতে শুরু করেছেন। ফলে এবার রাফায় হামলা হলে, তার প্রভাবও প্রসারিত হতে পারে বলেই মনে করছে প্রায় গোটা বিশ্ব। তবে হাসপাতালগুলি জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়ক্ষেত্র হিসেবেই হামাস ব্যবহার করছে বলে পালটা তোপ দাগা হয় ইজরায়েলের তরফে।
আরও পড়ুন: Gaza Attack: ইজরায়েলের গাজা আক্রমণকে হিটলারের সঙ্গে কাজের সঙ্গে তুলনা ব্রাজিলের নেতা লুলা ডি সিলভার
এদিকে বৃহস্পতিবার রাফার একটি কমপ্লেক্সে প্রবেশ করে ইজরায়েলি সেনা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর জেনেই ওই কমপ্লেক্সে হানাদারি চলানো হয় বলে দাবি আইডিএফের। ওই কমপ্লেক্সে পণবন্দিরা থাকতে পারেন বলেই অনুমান করে হামলা চালায় আইডিএফ। সবকিছু মিলিয়ে ফের ইজরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধের জেরে উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে গাজায়।