Photo Credit Wikipedia

ইসরায়েল হামাস যুদ্ধের প্রথম দফায় যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে বন্দি বিনিময়ের কাজ সফল করার পর ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন যে দেশের সমস্ত পণবন্দীদের ফিরিয়ে নিয়ে আসায় প্রধান লক্ষ্য তাদের।

এক্স হ্যান্ডেলে এই বিষয়ে পোস্টও করেন নেতানিয়াহু। ইজরায়েল হামাসের পণবন্দি চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ব্যাচের পণবন্দিদের রেড ক্রসের হাতে তুলে দিয়েছে হামাস। প্রথামিকভাবে ১৩ জন ইজরায়েলি পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস থেকে        অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে ইজরায়েলের দিকে রওনা দিয়েছে তারা। হামাসের পক্ষ থেকে ৫০ জন নাগরিককে মুক্তি দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। যারা প্রধানত মহিলা ও শিশু বলে জানা গেছে।

১৩ জন নাগরিকের মধ্যে থেকে ১২ জন থাই নাগরিককে চিহ্নিত করেছে ইজিপ্টের সরকার। যাদেরকে ৭ অক্টোবর অপহরণ করা হয়েছিল। যদিও থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে তারা বিশ্বাস করে যে ২৬ জন থাই নাগরিককে বন্দি বানানো হয়েছিল ৭ অক্টোবর।

অপহত হওয়া ২৪০ জন নাগরিকের মধ্যে থেকে ৫০ জনকে মুক্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে হামাস। কাতার ও আমেরিকার মধ্যস্থতায় সম্পন্ন হয়েছে এই চুক্তি। ইজরায়েলের ১৩ জন শরণার্থীর বদলে ৩৯ জন প্যালেস্তানীয় নাগরিককে মুক্তি দেবে ইজরায়েলের সরকার।

তবে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি সম্পন্ন হলেও হেজবোল্লার সঙ্গে কোন যুদ্ধবিরতু চুক্তি হয়নি বলে জানিয়েছে লেবাননের এই সংগঠন। তাই হেজবোল্লার তরফ থেকে যুদ্ধ জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।

উভয়পক্ষের পণবন্দীরা নিজেদের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার অপেক্ষায় খুশির খবর দু প্রান্তেই।