Iran Exits Nuclear Deal: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিকভাবে পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেল ইরান
হাসান রুহানি ও ডোনাল্ড ট্রাম্প (Photo Credits: PTI)

তেহরান, ৬ জানুয়ারি: মার্কিন (US) বিমান হামলায় ইরানের (Iran) দ্বিতীয় সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা এবং কুদস আর্মির কমান্ডার কাসেম সোলেইমানির (Qasem Soleimani) হত্যার পর থেকে মধ্য প্রাচ্যে উত্তেজনা বেড়ে গেছে। তাঁর মৃত্যুর দু' দিন কাটতেই ইরান আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি (Nuclear Deal) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বারাক ওবামার রাষ্ট্রপতিত্বকালীন সময়ে তেহরান পি -৫ + ১ (P5+1) দেশগুলির সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। যেখানে ইরানি সরকারকে সামরিক উদ্দেশ্যে তার পারমাণবিক ক্ষমতা বিকাশ থেকে বিরত রাখা হয়েছিল।

রবিবার এক বিবৃতিতে ইরান সরকার ঘোষণা করেছে যে সমৃদ্ধির ওপর আরোপিত সমস্ত সীমাবদ্ধতা "শেষ" হয়ে গেছে, তেহরান আর অ-বিস্তারকে মেনে চলার জন্য কোনও আন্তর্জাতিক চুক্তির মধ্যে আবদ্ধ থাকবে না। পারমাণবিক চুক্তি লঙ্ঘন করবে তা প্রত্যাশিতই ছিল। তবে সময় এখন যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে তাতে ইরান আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের ইঙ্গিত দিয়েছে। দেশটি গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দু'বার পুনরাবৃত্তি করেছে যে সোলাইমানির হত্যার প্রতিক্রিয়া "সামরিক" ভাবেই হবে। অবসর গ্রহণগুলি শীর্ষ থেকে উঠে এসেছে, প্রধান নেতা ইমাম আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে "কঠিন প্রতিশোধ" নেওয়ার জন্য সতর্ক করে দিয়েছেন। আরও পড়ুন, কাসেম সোলেইমানি হত্যায় প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছে ইরান, মসজিদে লাল পতাকা উত্তোলন করে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি

সমালোকচক্র জানিয়েছেন গত ২০১৮-র মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) একতরফাভাবে চুক্তি থেকে সরে আসার পরে এবং ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাগুলি চাপিয়ে দেওয়ার পর পরমাণু সমঝোতা অপ্রয়োজনীয়ই হয়ে পড়েছিল। নিষেধাজ্ঞার অবসান ঘটাতে ওয়াশিংটনের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য হাসান রুহানির নেতৃত্বাধীন সরকার গত এক বছর থেকেই আবার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রক্রিয়া শুরু করেছিল।

নভেম্বর ৭-এ ইরান তার ভূগর্ভস্থ ফোর্ডো প্লান্টে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পুনরায় চালু করার পরে প্রায় প্রত্যাবর্তনের পর্যায়ে পৌঁছেছিল। এর অপব্যবহার যা পারমাণবিক চুক্তির অন্যতম ভিত্তি। এই অঞ্চলে ইরানের খিলান প্রতিদ্বন্দ্বীসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় - সৌদি আরব এবং ইজরায়েল এই আশঙ্কা জাগিয়ে তুলেছে যে তেহরান যদি তাদের পদক্ষেপ অব্যাহত রাখে তবে অদূর ভবিষ্যতে মার্কিন- ইরান পারমাণবিক যুদ্ধ বাধতে পারে।