মসজিদে লাল পতাকা উত্তোলন ইরানের (Photo Credits: Twitter)

তেহরান, ৫ জানুয়ারি: মার্কিন (America) বিমান হামলার পরে ইরান (Iran) জামকারন মসজিদে লাল পতাকা (Red Flag) উত্তোলন করে যুদ্ধ (War) ঘোষণা করেছে। মার্কিন বিমান হামলায় ইরানের দ্বিতীয় সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা এবং কুদস আর্মির কমান্ডার কাসেম সোলেইমানির (Qasem Soleimani) হত্যার পর থেকে মধ্য প্রাচ্যে উত্তেজনা বেড়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে লাল পতাকা উত্তোলন যুদ্ধ ঘোষণার প্রতীক। খবরে বলা হয়েছে, এই প্রথমবার ইরান মসজিদটির উপরে লাল পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এর আগে ইরান ও ইরাকের যুদ্ধের সময় পর্যন্ত লাল পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। শনিবার রাতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে আমেরিকান ঘাঁটিগুলিতে মর্টার ও রকেট হামলা করা হয়েছিল। যদিও এই সময়ে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায় নি, তবে মসজিদে লাল পতাকা ওড়ানোকে যুদ্ধের প্রতীক হিসাবে বিবেচিত করা হয়েছে।

সূত্র মতে, ইরাকের রাজধানী বাগদাদের 'গ্রিন জোনে' (Green Zone) মার্কিন দূতাবাসে রকেট হামলা করা হলেও এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। মার্কিন বিমান হামলায় ইরানের শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার পর মার্কিন দূতাবাসে এই হামলা হয়েছে। কাসিম সোলেইমানির হত্যার পর ইরান সেনাবাহিনীর এক সিনিয়র কমান্ডার ঘোষণা করেছিলেন যে তাঁর মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়া হবে। তিনি বলেছিলেন যে আমেরিকা থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সঠিক জায়গা এবং সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। এরপর ইরাকেই প্রস্তুতি চলছিল সোলেইমানির অন্ত্যেষ্টির। কুদস সেনাপ্রধানের শেষকৃত্যে যাওয়ার সময় একটি কনভয়ের উপর হামলা চালায় মার্কিন সেনাবাহিনী। ইরাকে নিযুক্ত ইরানের কমব্যাট ফোর্স হাশদ আল-শাবিই ছিল মূল টার্গেট।

আরও পড়ুন, 'কাসেম সোলেইমানির হামলার পরিকল্পনার জাল বিস্ত‌ৃতি ছিল দিল্লি পর্যন্ত', চাঞ্চল্যকর দাবি ডোনাল্ড ট্রাম্পের

উল্লেখ্য, শুক্রবার লেবাননের নেতা সৈয়দ হাসান নাসরাল্লাহ বলেছিলেন যে তাঁর শক্তিশালী শিয়া সেনাবাহিনী কাসেম সোলেইমানির দেখানো পথেই এগিয়ে যাবে। তিনি বলেছিলেন যে এই অপরাধ কার্যকর করার পরে আমেরিকা তার পরিকল্পনাগুলিতে সফল হতে পারবে না। একই সাথে হিজবুল্লাহর এক নেতা মোহাম্মদ রাদ বলেছেন যে আমেরিকা সোলেইমানিকে হত্যা করে একটি বড় ভুল করেছে এবং সামনের দিনগুলিতে এর ভোগান্তি পোহাতে হবে।