কাবুল, ৪ এপ্রিল: আফগান সুরক্ষা বাহিনীর (Afghan security forces) বিশেষ অভিযানে ধরা পড়ল ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রদেশের তথাকথিত প্রধান মাওলায়ি আবদুল্লা ওরফে আসলাম ফারুকি (Mawlawi Abdullah aka Aslam Farooqui )। ২৫ মার্চ কাবুল গুরুদ্বারে হামলায় (Kabul gurdwara attack) যুক্ত রয়েছে সে। ধৃতের সঙ্গে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা (Lashkar-e-Tayebba) ও হাক্কানি (Haqqani) গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে। ফারুকি ছাড়াও আরও চার পাকিস্তানি জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে আফগানিস্তানের সুরক্ষা বাহিনী।
২০১৯ সাল থেকে তিনি খোরাসান প্রদেশে আইএসকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। গত বছর এপ্রিল মাসে মাওলয়ি জিয়া-উল-হক ওরফে আবু ওমর খোরসানির জায়গায় ফারুকিকে ISKP-র প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হয়। ফারুকি পাকিস্তানের নাগরিক। আগে সে লস্কর ই তইবার সঙ্গে যুক্ত। পরে যুক্ত হন তেহরিক-ই-তালিবান নামে আরেকটি এক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে। তিনি মামোজাই উপজাতির মানুষ। আফগানিস্তানের সীমান্তে পাকিস্তানের ওরাকজাই এজেন্সি অঞ্চলে ওই উপজাতি বাস করে। কাবুল ও দিল্লির সন্ত্রাসবাদ দমন সংস্থাগুলি জানিয়েছে, হাক্কানি নেটওয়ার্ক ও লস্কর ই তইবার নির্দেশে ফারুকি কাবুলের গুরুদ্বারে হামলা চালানোর ছক কষে। ফারুকি ওই হামলা চালানোর জন্য মুহসিন তিকারিপুর নামে এক জঙ্গিকে নিয়োগ করেন। মুহসিনের সঙ্গে সহায়তা করার জন্য ছিল আরও তিন জঙ্গি। তারা কাবুলের শোর বাজার অঞ্চলে হামলা চালিয়ে ২৭ জন শিখ ধর্মাবলম্বী মানুষকে হত্যা করে। আরও পড়ুন: Terror Attack in Afghanistan: কাবুলে শিখ ধর্মস্থানে আত্মঘাতী হামলা, নিহত ২৫
মুহসিনের বাড়ি ছিল কেরলে। হামলায় সে নিহত হয়েছে। কেরলে তার বাড়িতে মাকে মৃত্যুর খবরও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। একটি সূত্রের খবর, কাবুলে ভারতীয় দূতাবাসই ছিল আইএসের প্রধান টার্গেট। তালিবান এবং আইএস, উভয়েই চায়, আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়া থেকে ভারত দূরে থাকুক। নিরীহ শিখদের উপর হামলার নির্দেশ কে দিয়েছিল এবং সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানের ভূমিকা কী ছিল তা জানতে এখন আফগানিস্তানের গোয়েন্দারা ফারুকিকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। জিজ্ঞাসাবাদে আরও তথ্যা জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।