Iran Nuclear Sites: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি কি সত্যি? ইরানে বোমা ফেলে সত্যিই কি তাদের পরমাণু অস্ত্র তৈরির সব পরিকাঠামো ধ্বংস করে ফেলেছে আমেরিকা? নাকি, বোমা ফেলে ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে বড়জোড় মাসখানেক দূরে ঠেলে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন? এই প্রশ্নটার দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। তবে দুনিয়াকে কিছুতেই তাদের পরমাণু কেন্দ্র বা ঘাঁটির সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে জানাতে নারাজ ইরান। ইরানের পরমাণু ঘাঁটি ও কেন্দ্রগুলিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইজরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার পর সেখানকার পরিস্থিতি দেখতে যাওয়ার ইচ্ছপ্রকাশ করেছিলেন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি এজেন্সি বা IAEA প্রধান রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোস্সি। কিন্তু ইরান সাফ জানিয়ে দিল, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি এজেন্সি-র প্রধান বা কোনও কর্তাদের তাদের দেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। শুধু তাই নয়, তাদের দেশে কোনও পরমাণু কেন্দ্রেই ক্যামেরা ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে ইরান সাফ জানিয়ে দিয়েছে। এমনিতে নিজেদের যাবতীয় পরমাণু কর্মসূচি গোপনেই করেছে ইরান। কিন্তু ইরান যে পরমাণু বোমা তৈরির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছেল তা সবাই জেনে ফেলেছিল।
ইরানে পরমাণু ঘাঁটিতে হামলায় ৩০,০০০ পাউন্ড ওজনের বাঙ্কার বাস্টার বোমা ব্যবহার করেছিল আমেরিকা
গত ২২ জুন, ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক ঘাঁটি: নাতাঞ্জ, ফোর্দো এবং ইস্ফাহান—এ বিমান হামলা চালায় আমেরিকা। মার্কিন বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনী এই হামলায় অংশ নেয়, যেখানে বি-২ স্পিরিট স্টিলথ বোমারু বিমান এবং সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপিত টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। হামলায় ৩০,০০০ পাউন্ড ওজনের জিবিইউ-৫৭এ/বি ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর (এমওপি) বাঙ্কার বাস্টার বোমা ব্যবহৃত হয়েছিল।
দেখুন খবরটি
JUST IN - Iran bars IAEA chief from entering the country, refuses cameras at its nuclear sites: Iranian FM
— Disclose.tv (@disclosetv) June 28, 2025
ইরানে পরমাণু কেন্দ্রের অবস্থা এখন কেমন
CNN Exclusive: Early US intel suggests American strikes did not destroy Iran's nuclear sites and likely only set the program back by months, sources say. https://t.co/NtcqTB83VA pic.twitter.com/MVHbYlZ6Ua
— CNN Politics (@CNNPolitics) June 24, 2025
ট্রাম্পের দাবি কতটা সত্যি
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিন, মার্কিন হামলায় ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ সক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তবে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রাথমিক মূল্যায়নে বলা হয়েছে, ইরানের ইউরেনিয়াম মজুদ এবং বেশিরভাগ সেন্ট্রিফিউজ অক্ষত রয়েছে, এবং ইরান হামলার আগেই অনেক কিছু মূল সরঞ্জাম সরিয়ে ফেলেছিল।