Gotabaya Rajapaksa (Photo Credit: Instagram)

দিল্লি, ১৩ জুলাই:  শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট  গোতবয়া রাজাপাক্ষেকে কোনওভাবে সাহায্য করেনি দিল্লি (Delhi)। গোতবয়া রাজাপাক্ষে মঙ্গলবার রাতে শ্রীলঙ্কা থেকে পালিয়ে মালদ্বীপে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং তাঁকে সাহায্য করা হয় দিল্লির তরফে। এমন অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে মুখ খোলে দিল্লি। গোতবায়া রাজাপাক্ষেকে সাহায্য করা হয় বলে যে দাবি করা হয়, তা একেবারে ভিত্তিহীন বলে জানানো হয় দিল্লির তরফে। শ্রীঙ্কার (Sri Lanka) অর্থনৈতিক সঙ্কট প্রকাশ্যে আসতেই সে দেশকে সবদিক থেকে সাহায্যের চেষ্টা করা হয় ভারতের (India) তরফে। শ্রীলঙ্কার মানুষ যাতে অর্থনৈতিক দুরাবস্থার সঙ্গে লড়াই করতে পারেন, সে বিষয়ে দিল্লির তরফে সাহায্যের চেষ্টা করা হয়। তবে কোনওভাবে গোতবয়াকে সাহায্য করা হচ্ছে না বলে নস্যাৎ করা হয়।

 

প্রসঙ্গত সোমবার গোতবয়া রাজাপাক্ষে দেশ ছেড়ে দুবাইতে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বিমানবন্দরে যেতেই তাঁকে অভিবাসন দফতরের কর্মীরা আটকে দেন। ফলে গোতবয়া রাজাপাক্ষে দেশ ছেড়ে দুবাইতে পালাতে পারেননি। এরপর মঙ্গলবার রাতে গোতবয়া রাজাপাক্ষে ফের শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পালান বলে খবর।

আরও পড়ুন: Rhea Chakraborty: সুশান্তকে মাদক সেবনে 'প্ররোচনা' দিতেন রিয়া? কী জানাল এনসিবি

গোতবয়া রাজাপাক্ষের পর তাঁর ছোট ভাই অর্থাৎ প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বেসিল রাজাপাক্ষেও দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেন। তাঁকেও বিমানের কর্মীরা এবং সে দেশের সাধারণ মানুষ আটকে দেন। ফলে বেসিল রাজাপাক্ষেও দেশ ছাড়তে পারেননি বলে খবর।

এদিকে গোতবয়া রাজাপাক্ষের দেশ ছেড়ে পালানোর খবর প্রকাশ্যে আসতেই শ্রীলঙ্কা জুড়ে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপরই শ্রীলঙ্কার মানুষ সে দেশের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহের অফিসের নিকটবর্তী এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভ দমাতে পুলিশ টিয়ার গ্যাসের লেস ফাটাতে শুরু করে। তা সত্ত্বেও বিক্ষোভ বাগে আনা যায়নি। গোতবয়া রাজাপাক্ষের পর শ্রীলঙ্কার মানুষ প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহের পদত্যাগও দাবি করেন। ফলে কলম্বো জুড়ে বর্তমানে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।