H1B Visas | Image used for representational purpose | (Photo Credits: PTI)

ওয়াশিংটন, ৬ নভেম্বর: ভারতীয়দের করা এইচ-১ বি ভিসার (H-1B Visa) আবেদন খারিজের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে আমেরিকায় (United States Of America)। ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর আমেরিকান পলিসি-র (National Foundation for American Policy) সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য। এইচ–১ বি ভিসা পিটিশন খারিজ হওয়ার হার বেড়ে যাওয়ার কারণ হল আমেরিকায় ভারতীয় কর্মীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। ২০১৫ সালের আর্থিক বছরে ৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০১৯ সালের তৃতীয় ত্রিমাসিকে তা হয়েছে ২৪ শতাংশ। মার্কিন নাগরিকত্ব ও ইমিগ্রেশন পরিষেবা (Immigration Services) বা ইউএসসিআইএস-এর থেকে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর আমেরিকান পলিসি। দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় আইটি কম্পানিগুলি দাবি করে আসছিল যে একমাত্র তাদের করা এইচ -১ বি ভিসার আবেদন খারিজের হার সর্বাধিক। এছাড়া ট্রাম্প প্রশাসন অহেতুক তাদের টার্গেট করছে। এই রিপোর্ট তাদের অভিযোগ বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছে।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ২০১৫ সালে অ্যামাজন, মাইক্রোসফট, ইন্টেল এবং গুগলে প্রাথমিক কাজের জন্য এইচ -১ বি ভিসার আবেদন খারিজের হার মাত্র এক শতাংশ ছিল। ২০১৯ সালে সেই হার বেড়ে হয়েছে ৬, ৮, ৭ এবং ৩ শতাংশে। অ্যাপলের ভিসার আবেদন খারিজের হার ২ শতাংশ। একই সময়ে, টেক মহিন্দ্রার করা ভিসার আবেদন খারিজের হার ৪ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪১ শতাংশ। টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসের ক্ষেত্রে ৬ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৪ শতাংশ, উইপ্রোর ক্ষেত্রে ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৩ শতাংশ। এবং ইনফোসিসের ক্ষেত্রে মাত্র ২ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৫ শতাংশ। এছাড়া চলতি বছরের ত্রিমাসিক পর্যন্ত ভিসার আবেদন খারিজের হার বেড়েছে কগনিজেন্ট, অ্যাসসেনচার, ক্যাপজেমিনিসহ ১২টি কম্পানির। যারা আমেরিকার আইটি কম্পানিগুলিকে পরিষেবা দেয়। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিনটি ত্রৈমাসিকের মধ্যে ভিসার আবেদন খারিজের হার ৩০ শতাংশেরও বেশি ছিল। এই সংস্থাগুলির বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই একসময় এই হার ছিল ২ শতাংশের মধ্যে। ২০১৫ হিসাবে তা বেড়ে হয় ৭ শতাংশে। স্থানী কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এই হার সবচেয়ে বেশি ভারতীয় আইটি সংস্থাগুলিরই। আরও পড়ুন:  Google Buys Fitbit: ২২১ কোটি মার্কিন ডলারে প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা ফিটবিট কিনল গুগল

অন্যদিকে, বড় আমেরিকান সংস্থাগুলির মধ্যে স্থায়ী কর্মসংস্থানের জন্য এইচ -১ বি ভিসার আবেদন খারিজের হার কম ছিল। অ্যামাজন (১ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ), মাইক্রোসফট (২ শতাংশ রয়েছে), ইন্টেল (১ শতাংশ থেকে হয়েছে ৩ শতাংশ), অ্যাপল (১ শতাংশ রয়েছে) এবং গুগলের ক্ষেত্রে ২০১৫ সালের ০.৪ শতাংশ থেকে বেড়ে এক বছরে ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর আমেরিকান পলিসি বলেছে, "মেমো ও নীতিগত পরিবর্তনের মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করা ট্রাম্প প্রশাসনের মূল লক্ষ্য। সে কারণে শিক্ষিত বিদেশি নাগরিকদের জন্য বিজ্ঞান এবং এঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে আমেরিকায় কাজ করা আরও কঠিন করে তোলা হয়েছে।" বিশেষজ্ঞদের মতে, এইচ–১বি ভিসার আবেদন ব্যাপক পরিমাণে খারিজ হওয়ার প্রভাব পড়বে প্রতিষ্ঠিত তথ্য–প্রযুক্তি সংস্থাগুলির ওপর।