নিউ ইয়র্ক, ২৯ অক্টোবর: তিনি ট্যুইটার অধিগ্রহণের পরেই বহিষ্কার করেছেন সিইও পরাগ আগরওয়ালকে। পরাগের সঙ্গে ট্যুইটারের বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্তাকেও তাড়িছেন নয়া মালিক ইলন মাস্ক। বোরিং কোম্পানি, টেসলার মালিকের লক্ষ্য হল স্বাধীন ট্যুইটার। মানে যে ট্যুইটারে কোন সেন্সরশিপ থাকবে না। এখানেই উঠছে প্রশ্ন, তাহলে কি ট্যুইটারে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টও খুলে যাবে! মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ভুয়ো খবর/তথ্য শেয়ারের ট্রাম্পের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানওয়াতের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টও একই কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। জোর জল্পনা, মাস্কের নয়া ট্যুইটার জমানায় ট্রাম্প, কঙ্গনা সহ বহু ট্যুইটার অ্যাকাউন্টের ওপর নির্বাসন তুলে খুলে দেওয়া হবে।
এই বিষয়ে ট্যুইটারের নয়া মালিক মাস্ক জানালেন, " এখনই ট্যুইটার কনটেন্ট মোডারেশন নীতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি। তবে কনটেন্ট মডারেশন নীতির জন্য একটা কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। সেই কাউন্সিল নানা কথা, যুক্তি, পক্ষের মতামত শুনে নতুন কনটেন্ট নীতি তৈরি করবে। আরও পড়ুন-পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান 'ঘড়ি চোর', উঠল স্লোগান দেখুন
দেখুন ট্যুইট
Elon Musk says Twitter is yet to make any changes to its content moderation policies pic.twitter.com/JKAHaBHNMm
— ANI (@ANI) October 29, 2022
দুনিয়ার জনপ্রিয়তম সোশ্যাল 'মাইক্রো ব্লগিং সাইট' ট্য ইটার অধিগ্রহণের পর প্রথম ট্যুইটে মাস্ক লিখেছিলেন,পাখি স্বাধীন হয়েছে। ট্যুইটারে ফ্রি স্পিচের দাবিতে অতীতে বহুবার সরব হয়েছিলেন মাস্ক।
টুইটারের লোগোয় ব্যবহার করা হয় একটি পাখির ছবি। টুইটারকে তাই অনেকেই পাখি বলে ডাকেন। মাস্কও টুইটারকে পাখি বলে মুক্ত বা স্বাধীন হওয়ার কথা বললেন। টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়াল ও সিএফও নেড সেগালকে ছাঁটাই করে কাজ শুরু করেছেন মাস্ক।
গত বৃহস্পতিবার ইলন মাস্ক ৪৪ বিলিয়ন খরচ করে ট্যুইটারকে পুরোপুরি নিজের হস্তগত করেন। এরপরই কার্যত ট্য়ুইটারের 'শুদ্ধিকরণ' শুরু করেন ইলন মাস্ক। ট্যুইটারে সমস্ত ক্ষমতা হস্তগত করে, সেখান থেকে একের পর এক পদস্থ আধিকারিকদের বরখাস্ত করছেন মাস্ক (Elon Musk )।