Elon Musk With Donald Trump (Photo Credit: X/Screengrab)

Trump vs Musk: তিনি সাহায্য না করলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিততে পারতেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। আত্মঘাতী যৌন অপরাধী এপস্টিনের সঙ্গে ট্রাম্পের যোগাযোগ ছিল। ট্রাম্পকে ইমপিচ করে দ্রুত জেডি ভান্সকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট করা হোক। গতকাল, বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করে টেসলা সিইও ইলন মাস্ক দুনিয়াকে চমকে দিয়েছেন। ক'দিন আগেও দুজনে ছিলেন দুজনের পরম বন্ধু, আর এখন চরম শত্রু। ট্রাম্প পাল্টা মাস্ককে তোপ দেগে তার কোম্পানির ওপর দেওয়া ভর্তুকি তুলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তোপ, পাল্টা তোপ, কাদা ছোড়াছুড়ির পর ট্রাম্প আর মাস্কের মধ্যে বিবাদ মেটানোর চেষ্টা শুরু হয়। হোয়াইট হাউসের শীর্ষ কর্তারা মাস্ককে অনুরোধ করেন, দূরত্ব মেটাতে শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁকে ফোন করবেন। এরপর মাস্ক শান্ত হয়ে যান।

মাস্ক কথা বলতে চেয়েছিলেন, ট্রাম্প আলোচনায় নারাজ

হোয়াইট হাউসের এক শীর্ষ কর্তার ফোন পেয়ে মাস্ক আর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গত ১৫-১৬ ঘণ্টা ধরে চুপ আছেন। এমনকী ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার একটা ইঙ্গিত দিয়েও একটি এক্স-পোস্টের জবাবও দিয়েছিলেন দুনিয়ার ধনীতম ব্যক্তি। সোশ্য়াল মিডিয়া সূত্রের খবর, এদিন ঘনিষ্ঠমহলে ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আর মাস্কের সঙ্গে কোনও কথা বলতে চান না। কারণ প্রকাশ্যে তাঁকে সর্বোচ্চ অপমান করে দিয়েছেন মাস্ক। আর তাই এখন পিছিয়ে আসার কোনও মানেই হয় না। সামান্য মত বিরোধ হলেই যদি এভাবে মাস্ক প্রকাশ্যে অপমান করেন, সেটা খুব বিপজ্জনক। আর তাই তিনি মাস্কের থেকে সরে আসার সিদ্ধান্তই নিয়েছেন বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন। এমনকী মাস্কের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিতে তিনি যে লাল টেলার ইলেকট্রিক গাড়িটি নিয়েছিলেন, সেটাও ফিরিয়ে নেবেন বলে ট্রাম্প জানিয়েছেন। ট্রাম্পের মতে মাস্কের মত মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখাটা বিপজ্জনক। দেশ এগিয়ে নিতে যেতে গেলে, প্রশাসন চালাতে গেলে অনেক সময়ই কিছু সিদ্ধান্ত থাকে যেগুলি একমত হওয়া যায় না, কিন্তু তা বলে এভাবে প্রকাশ্যে ব্যক্তিগত আক্রমণ কখনই করা উচিত নয়।

মাস্কের সঙ্গে সংঘাতে যেতেও পিছপা হবেন না ট্রাম্প

মাস্কের মত বিপজ্জনক বন্ধুর থেকে শত্রু ভাল, এমন কথাই বলছেন ট্রাম্প

ট্রাম্প দূরত্ব না মেটাতে মাস্ক ফের মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে চলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। একটা জিনিস পরিষ্কার, ট্রাম্পের কাছ থেকে তিনি যতটা সাহায্য পাবেন ভেবেছিলেন, সেটা মাস্ক পাচ্ছেন না। বরং ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তোপ দাগার পর ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে তাঁকে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হচ্ছে। তা ছাড়া ট্রাম্পের শুল্ক নীতি থেকে পরিবেশ আন্দোলন বিরোধী অবস্থানে আদপে মাস্কেরই বড় ক্ষতি হচ্ছে।