ওয়াশিংটন, ৮ নভেম্বর: নিজের দাতব্য তহবিলের (চ্যারিটি ফান্ড) অর্থ রাজনৈতিক প্রচারে ব্যবহার করায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (President Donald Trump) দুই মিলিয়ন ডলার জরিমানা করেছে নিউইয়র্কের (New York) একটি আদালত। নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, অর্থের অপব্যবহারের বিষয়টি স্বীকার করেছেন ট্রাম্প। যদিও আগে তিনি কোনও অন্যায় কাজ করেননি বলে দাবি করেছিলেন। ক্ষমতায় আসার আগে ও পরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। সেই তালিকায় এটাও এবার যুক্ত হল। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও একটি বড় অভিযোগ হল তিনি নিজের প্রচারের জন্য সরকারি অফিস ব্যবহার করেছেন। এছাড়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপেচমেন্ট ইস্যুতে আগামী সপ্তাহে জনশুনানির ঘোষণা করেছে হাউস অফ কংগ্রেস।
নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল গত বছর ট্রাম্প এবং তাঁর তিন সন্তান ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র ( Donald Trump Jr), এরিক ট্রাম্প (Eric Trump) ও ইভাঙ্কা ট্রাম্পের (Ivanka Trump) বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। অভিযোগ ছিল, ট্রাম্প তার দাতব্য প্রতিষ্ঠানের অর্থ ২০১৬ সালের একটি রাজনৈতিক ক্যাম্পেইনে ব্যবহার করেছেন। এই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নিউইয়র্কের এক বিচারক তাকে জরিমানা প্রদানের আদেশ দেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘দ্য ডোনাল্ড জে ট্রাম্প ফাউন্ডেশনটি’ ২০১৮ সাল থেকে বন্ধ আছে। দাতব্য কাজের পরিবর্তে ট্রাম্প নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্যই এটি ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ উঠার পর ফাউন্ডেশনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। আরও পড়ুন: H-1B Visa: রেকর্ড পরিমাণ এইচ–১ বি ভিসার আবেদন বাতিল আমেরিকার, সমস্যায় ভারতের আইটি কর্মীরা
ট্রাম্পকে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া বিচারপতি সালিয়ান স্কারপুল্লা নির্দেশে লেখেন, "আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ২ মিলিয়ন ডলার জরিমানা প্রদানের আদেশ দিচ্ছি। এই অর্থ সরাসরি ওই ফাউন্ডেশনে চলে যাবে যদি সেটির অস্তিত্ব এখনও থাকে। জরিমানার অর্থ ট্রাম্পকেই দিতে হবে। ট্রাম্প ও তাঁর সন্তানরা যেসব সমাজসেবামূলক কাজ করেন, তা রাজনীতি সংশ্লিষ্ট হতে পারবে না।" ট্রাম্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক হিসেবে আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তিন সন্তান ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র, এরিক ট্রাম্প এবং ইভাঙ্কা ট্রাম্প। তাঁদের ফাউন্ডেশন সম্পর্কে বাধ্যতামূলক একটি প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।