বরিস জনসন(Photo Credit: Twitter)

লন্ডন, ২৪ জুলাই: ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন কনজারভেটিভ পার্টির ব্রেক্সিটপন্থী (Brexit) নেতা বরিস জনসন (Boris Johnson)। তিনি আগে লন্ডনের মেয়র ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বরিস জনসনের নাম প্রকাশের পরই অনিশ্চয়তার মেঘ কাটল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। টেরেসা মে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই দোলাচালে দিন কাটছিল। আপাতত আগামী পাঁচ বছরের জন্য নিশ্চিন্ত হওয়া গেল। লন্ডনের প্রাক্তন মেয়রই যে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের বাসিন্দা হচ্ছেন তা নিশ্চিত হয়েছে।  আরও  পড়ুন-আমেরিকার হাতে লাদেনকে তুলে দিয়েছিল আইএসআই, কী বললেন ইমরান খান?

উল্লেখ্য, ব্রেক্সিট নিয়ে জটিলতার জেরে কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন টেরেসা মে। তাঁর পদত্যাগের পরে নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রতিযোগিতায় অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন ব্রিটিশ বিদেশ সচিব তথা লেবার পার্টির নেতা জেরেমি হান্ট (Jeremy Hunt)৷ তবে ব্রেক্সিট সংশোধনী নিয়ে ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হতেই দেখা যায়, কনজারভেটিভদের প্রাপ্ত ভোট ৯২১৫৩। অন্যদিকে লেবার পার্টি পেয়েছে ৪৬৫৬৫ ভোট৷ তবে ভোটসংখ্যায় এগিয়ে থাকলেও ব্রিটিশ সংসদে একেবারে কোণঠাসা কনজারভেটিভ শিবির। তাই জিতেও স্বস্তিতে নেই বরিস জনসন, তাঁকে এখন ত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্রিটিশং সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে। এজন্য তাঁর প্রয়োজন উত্তর আয়ারল্যান্ডের ব্রেক্সিটপন্থী দল ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির সমর্থন৷ এর পরে রয়েছে ব্রেক্সিট পরীক্ষা৷ অর্থাৎ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে ব্রিটেনকে বেরিয়ে যেতে হবে আগামী ৩১ অক্টোবর এই পরীক্ষাই দিতে হবে বরিস জনসনকে।

এমনিতেই ইউরোপীয় ইউনিয়নে ব্রিটেন থাকবে কি থাকবে না, তানিয়ে দুটি দল তৈরি হয়ে গিয়েছে। যার বৃহদাংশই গিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে। বাকিরা ব্রেক্সিটপন্থী। সে দেশের অনেকেই মনে করছেন, নিতান্ত জেদের বশে ব্রেক্সিটের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হতে চলেছে৷ ইতিমধ্যেই এনিয়ে নিজেদের মধ্যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্রিটেনের প্রাক্তন দুই প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন ও টনি ব্লেয়ার৷ এদিকে ২৪ জুলাই অর্থাৎ বুধবারই টেরেসা মে’র শেষ দিন৷ এদিন তিনি ডাউনিং স্ট্রিটের ভবন ছাড়ার আগে বাকিংহাম প্যালেসে গিয়ে রানি এলিজাবেথের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ইস্তফাপত্র জমা দেবেন৷ তারপরই ১০, ডাউনিং স্ট্রিটে পা রাখবেন বরিস জনসন৷ আর আজই সেই দিন যেদিন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদে বসতে চলেছেন ব্রেক্সিটপন্থী কনজারভেটিভ নেতা বরিস জনসন।