বিল গেটস, ফাইল ছবি (Photo Credit: Getty Images)

ওয়াশিংটন, ১০ আগস্ট: বিশ্বের সবথেকে উন্নত দেশ হিসেবে আমরা আমেরিকাকেই জানি। সেই আমেরিকাতে যখন হু হু করে করোনা আক্রান্ত বেড়ে চলেছে তখন হতাশাও পৌঁছে যায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। রবিবার সেই হতাশা ফুটে উঠল মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা তথা সমাজসংস্কারক বিল গেটসের (Bill Gates) বক্তব্যে। মার্কিন মুলুকে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ লক্ষ। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই হতাশা চেপে রাখতে পারলেন না বিল গেটস। তিনি বলেন, সংক্রমণের ফলাফল দেখে তিনি তিরস্কারের সুরে বলেছেন মাইন্ড ব্লোয়িং, মার্কিন সরকার এখনও করোনা ভাইরাসের টেস্টিং পদ্ধতিতে কোনওরকম উন্নতি করতে পারেনি। আগেও তিনি এই অভিযোগ এনেছিলেন যে মার্রকিন মুলুকে করোনাভাইরাস টেস্টের গোটা পদ্ধতিই একেবারে দীর্ঘ সূত্রিতায় বাঁধা। আরও পড়ুন-Mahathir Mohamad On Ties With India: জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইব না: মালয়েশিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মহম্মদ

আজ কারও লালারসের নমুনা করোনা পরীক্ষার জন্য গেলে তার ফলাফল আসতে এক সপ্তাহ সময় লেগে যায়। করোনাভাইরাসের টেস্ট ও রিপোর্ট সংক্রান্ত বিষয়ে এদেশে একটা তীব্র গাফিলতি বিদ্যমান। সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন টেক জায়ান্ট বলেন, “অন্যান্য দেশের তুলনায় সবথেকে অপদার্থ টেস্ট রেজাল্ট পেতে তুমি একটা অসম পথে কোটি কোটি ডলার খরচ করে চলেছো। টেস্ট নিয়ে এই ধরনের পাগলামি অন্য কোনও দেশে হচ্ছে না।” সম্প্রতি WIRED-এ আরও এক সাক্ষাৎকারে গেটস বলেন, মার্কিন মুলুকে বেশিরভাগ টেস্টই হল ফালতুষ কারণ ফলাফল আসতে দীর্ঘ সময় লাগছে। প্রায় সপ্তাহ শেষ তারপরও টেস্ট রেজাল্টের দেখা নেই। এর জেরে আক্রান্তরা হতাশায় ভুগছেন। সময়ে টেস্ট রেজাল্ট পাওয়ার ভরসায় বসে আছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। কয়েক বছর আগেই একবার গেটস সতর্ক করেছিলেন যে, কোনওরকম মহামারী রোখার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একেবারেই তৈরি নয়।

বর্তমান পরিস্থিতি সংক্রমণের গতিপ্রকৃতিকে দেখে মার্কিন সরকারের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিল গেটস। তাঁর মতে এখানকার করোনাভাইরাস টেস্ট প্রক্রিয়া এতটাই খারাপ যে তার উন্নতি সাধনের কোনও চেষ্টাই সরকারের নেই। বরং টেস্ট প্রক্রিয়া কতটা উচ্চমানের তা বলতেই সরকার ব্যস্ত। গেটসের আশা, আগামী বছরে যখন ভ্যাকসিন সহজলভ্য হবে, তখন হয়তো মার্কিন মুলুকে এই মহামারীর প্রকোপ কমতে পারে। এমনটাই আশা করছেন বিল গেটস। রবিবারই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ লক্ষ ছাড়িয়ে গেল।