ঢাকার বিমানবন্দর এলাকা থেকে আন্তর্জাতিক শ্রীকৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘের (ISKCON) নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করল বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (Detective Branch, Dhaka Metropolitan Police)। তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে মামলা হয়েছিল।সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে তিনি গ্রেফতার হন।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের (Bangladesh ISKCON leader Chinmoy Krishna Arrested) খবর আসতেই ইস্কনের তরফে টুইট বার্তায় ভারত সরকারের কাছে তাঁর মুক্তির দাবিতে আবেদন জানানো হয়। সেই বার্তায় তাঁরা লেখেন- "আমরা উদ্বেগজনক ভাবে খবর পেয়েছি যে ইসকন বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান নেতা শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ঢাকা পুলিশ আটক করেছে। সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে ইসকনের কোনো সম্পর্ক আছে এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ করাটা নিন্দনীয়। ইসকনের তরফে ভারত সরকারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। আমরা শান্তিপ্রিয় ভক্তিবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত এটাই আমরা জানাতে চাই এবং আমরা চাই বাংলাদেশ সরকার অবিলম্বে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মুক্তি দিক। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কাছে প্রার্থনা করি তাঁর ভক্তদের রক্ষার জন্য।"
ISKCON tweets, "We have come across disturbing reports that Sri Chinmoy Krishna Das, one of the prominent leaders of ISKCON Bangladesh, has been detained by the Dhaka police. It is outrageous to make baseless allegations that ISKCON has anything to do with terrorism anywhere in… pic.twitter.com/Db8xG1JX3y
— ANI (@ANI) November 25, 2024
ঢাকা মহানগর পুলিশের (DMP) গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক জানান, গ্রেফতারের পর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে নিজেদের হেফাজতে রেখেছে ডিবি (Detective Branch, Dhaka Metropolitan Police)। তার বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছিল তারই পরিপ্রেক্ষিতে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে তিনি চিন্ময় প্রভু নামে পরিচিত। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে একটি সমাবেশ করে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এই মঞ্চেরও মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরপরই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান।