আমাদের গ্যালাক্সিতে (galaxy) চিহ্নিত হয়েছে রহস্যজনক রেডিও এনার্জির (radio energy) বিস্ফোরণ, এমনটাই জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। রেডিও এনার্জির বিস্ফোরণের গতি অনেক দ্রুত। এর স্থায়িত্ব গোটা একটা সেকেন্ডও নয়। তবে সূর্যের থেকে ১০০ মিলিয়ন গুণ বেশি শক্তি ধরে। এত তীব্রতা সত্ত্বেও এই রেডিও এনার্জির উৎস অজানাই থেকে গেছে। তবে এই প্রথমবার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আমাদের আকাশগঙ্গায় প্রথম রেডিও এনার্জির বিস্ফোরণ প্রত্যক্ষ করলেন। এর আগে কোনও রেডিও এনার্জির বিস্ফোরণ ঘটে থাকলে তা চিহ্নিত করতে হবে, তাহলেই জানা যাবে এর উৎস কোথায়। সেকেন্ডেরও কম সময় স্থায়ী হওয়ায় এমন অপ্রত্যাশিত বিস্ফোরণের উৎসস্থল চিহ্নিত করা বিজ্ঞানীদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। তবে এটা স্পষ্ট যে মহাবিশ্বের বেশ কিছু সম্ভাব্য চরম পরিস্থিতির মধ্যে এই বিস্ফোরণ সংঘটিত হয়েছে।
এই প্রস্তাবিত ব্যাখ্যার মধ্যে মৃতপ্রায় তারকারাজি থেকে শুরু করে এলিয়েন টেকনোলজি সবই পড়ে। এই রেডিও এনার্জির বিস্ফোরণের আগমনের নেপথ্যে রয়েছে চুম্বক। অথবা এমন কোনও তারা যার খুব শক্তিশালী চৌম্বকীয় ক্ষেত্র রয়েছে। এই প্রসঙ্গে এমআইটি-র পদার্থবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কিয়োসি মাসুই বলেছেন, “এই রেডিও এনার্জির দ্বার কি উৎপন্ন হতে পারে তাই হল বিরাট রহস্য। কেননা এটিকে মহাবিশ্বের অর্ধেক পথে আমরা অতিক্রম করতে দেখলাম। এই প্রথম মহাবিশ্ব থেকে আসা রেডিও এনার্জির বিস্ফোরণের একটি অংশকে আমরে একক অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল অবজেক্টের সঙ্গে বাঁধতে পেরেছি।” আরও পড়ুন-Coronavirus Cases In India: ৮৩.৬৪ লাখের গণ্ডী পেরোলো ভারতের কোভিড রোগীর সংখ্যা, দৈনিক সংক্রমণ ৫০ হাজার ২০৯
এই চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয় গত ২৭ এপ্রিল। যখন গবেষকরা দুটি স্পেস টেলিস্কোপের সাহায্যে একাধিক এক্সরে, গামা রে নিঃসরণ দেখেছিলেন। যা আসছিল আমাদের গ্যালাক্সির শেষপ্রান্তে থাকা এক চুম্বক থেকে। পরের দিন গবেষকরা এই মহাজাগতিক দৃশ্যকে আরও ভালভাবে প্রত্যক্ষ করতে দুই উত্তর আমেরিকান টেলিস্কোপ ব্যবহার করেন। আকাশের নতুন প্যাচ ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হন। এবং বিস্পোরণও নজরে আসে। যা FRB 200428 নামেই সমধিক পরিচিত।