কান্দাহার, ১৩ আগস্ট: ন্যাটো ও মার্কিন সেনা আফগানিস্তান (Afghanistan) থেকে পাত্তারি গোটাতে না গোটাতেই একের পর এক প্রাদেশিক রাজধানী দখল করতে শুরু করেছে তালিবান (Taliban Captured Kandahar)৷ শুক্রবার ভোরে আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহার তালিবানের দখলে চলে এসেছে৷ সবমিলিয়ে ১২টি প্রাদেশিক রাজধানী এখন তালিবানের গ্রাসে৷ কাবুল থেকে মাত্রা ১৩০ কিলোমিটার দূরে সেনা তাঁবুতে চলছে বিক্ষিপ্ত যুদ্ধ৷ এদিন ভোরে প্রায় বিনা বাধায় কান্দাহারে আফগান সেনার সদর দপ্তর দখল করে তালিবান৷ এরপর সংবাদ সংস্থা এএফপিকে সংগঠনের মুখপাত্র জানায়, “কান্দাহার পুরোপুরি দখলে এসেছে৷ মুজাহিদিনরা শহিদ স্কোয়ারে পৌঁছে গেছেন৷” শুন্দু কান্দাহার নয়, শুক্রবার ভোরে দক্ষিণ লাগোয়া লস্কর ঘা শহরেও পড়েছে তালিবানের থাবা৷ আরও পড়ুন-India vs England Test: লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শতরান, অনার বোর্ডের দশম ভারতীয় কে এল রাহুল
গজনী আগেই দখল করেছিল৷ এবার কান্দাহারেও ত্রাসের পরিস্থিতি তৈরি করবে তালিবান৷ এমতাবস্থায় দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত কাবুলে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের আধিকারিকরা৷ ইতিমধ্যেই দূতাবাসের নির্দেশ মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে ভারতীয় নাগরিকদের৷ সেতু তৈরির কাজে নিযুক্ত তিন ভারতীয় ইঞ্জিনিয়রকে উদ্ধার করা হয়েছে৷ আফগানিস্তানে কর্মরত ভারতের সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তা বাড়ানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে৷ ইতিমধ্যে মার্কিন দূতাবাসের তরফে সেদেশে থাকা আমেরিকানদের দেশে ফেরানোর কাজ শুরু হয়েছে৷ এই প্রক্রিয়াকে তরাণ্বিত করতে মার্কিন মুলুক থেকে কাবুলে আসছে ৩ হাজার সেনা৷ ব্রিটেনের তরফ থেকেও কাবুলে আসছে ৬০০ সেনা৷ তবে এই সেনাবাহিনী আফগানিস্তানে থাকা মার্কিন নাগরিক দেশে ফেরানো কাজটুকুই করবে৷ তালিবানদের বিরুদ্ধে কোনও যুদ্ধ পরিচালনা নয়৷ কিছুদিন আগে মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে আশঙ্কা করা হয়েছিল যে, এক মাসের মধ্যে সমগ্র আফগানিস্তানের দখল নেবে তালিবানরা৷
এদিকে সে দেশের ৩৪টি প্রাদেশিক রাজধানীর মধ্যে ইতিমধ্যে ১২টির দখল নিয়েছে তালিবান৷ কাবুলের সঙ্গে গজনী ও কান্দাহারের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার কাজ শুরু করেছে কট্টরপন্থী সংগঠনটি৷ শোনা গেছে আফগান সেনার তরফে তালিবানদের কাছে গোটা দেশের ক্ষমতা ভাগাভাগি হওয়ার প্রস্তাব গেছে৷ এক মধ্যস্থতাকারী সেনার তরফে প্রস্তাব পেশ করেছে তালিবানের কাছে৷ তবে প্রত্যুত্তোর এখনও জানা যায়নি৷