কাবুল, ১৬ সেপ্টেম্বর: নয়া সরকার গঠনের পর থেকেই তালিবানের (Taliban) দুই গোষ্ঠীর মধ্য়ে সংঘাত শুরু হয়েছে৷ বেশ কিছুদিন ধরেই এমন খবর প্রকাশ্যে আসছে৷ তবে তালিবানের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে ক্রমশ প্রকট হয়ে উঠতে শুরু করেছে৷ যে খবর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যগুলিতে উঠে আসতে শুরু করেছে৷
রিপোর্টে প্রকাশ, তালিবানের বাস্তববাদী গোষ্ঠী এবং হার্ড লাইনারদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়েছে৷ সম্প্রতি সেই সংঘর্ষ কাবুলের প্রেসিন্ডেন্ট প্যালেসে বড় আকার নেয়৷ ফলে আবদুল গনি বরাদরের সঙ্গে হাক্কানি নেটওয়ার্কের (Haqqani Network) খলিল-উর-রহমানের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়৷ এরপরই আবদুল গনি বরাদর কাবুল থেকে সোজা কন্দহরে চলে যান বলে খবর৷
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: টাইম ম্যাগাজিনে ১০০ জন প্রভাবশালীর তালিকায় নরেন্দ্র মোদীর পাশেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কন্দহরে গিয়ে তালিবান প্রধান হায়বাতুল্লা আখুন্দাজার সঙ্গে দেখা করে, আফগানিস্তান (Afghanistan) ছাড়েন বলে শোনা যায়৷ আবার এও শোনা যায়, হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে বিবাদের পরই মোল্লা আবদুল গনি বরাদর (Abdul Ghani Baradar) নিহত হয়েছেন৷ যদিও তালিবান ওই খবরের সত্যতা স্বীকার করেনি৷ তবে আফগানিস্তানে ক্ষমতায় কারা থাকবে, তা নিয়ে তালিবানের বাস্তবাদী সংগঠন এবং হার্ড লাইনারদের মধ্যে বিবাদ ক্রমশ প্রকট হয়ে উঠতে শুরু করেছে বলে খবর৷ এবং ওই সংঘর্ষের প্রভাব গোটা সংগঠনের উপরও পড়ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে নেতৃত্বের তরফে৷
এদিকে আফগানিস্তান (ইসলামিক এমিরেট)-এর তরফে ঘোষণা করা হয়, শিগগিরই নতুন সেনা বাহিনী গঠন করা হবে৷ তালিবান সেনা বাহিনীর নেতা ফাসিউদ্দিন নিহত হয়েছেন৷ তবে তালিবানের সেনা প্রধান নিহত হলেও, শিগগিরই নতুন করে বাহিনী গঠন করা হবে৷ এমনই খবর প্রকাশ করা হয়েছে জিনহুয়ার তরফে৷ নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবকদেরই এই নয়া বাহিনীতে নিয়োগ করা হবে৷ আফগানিস্তানের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই বাহিনী গঠন করা হবে বলে খবর৷