James Tooley and his wife Cynthia (Photo Credits: X)

হায়দরাবাদের এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে উপাচার্যের চাকরি খোয়ালেন প্রবীণ মার্কিন অধ্যাপক। অভিযোগ, বাকিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বছর ৬৫-এর জেমস টুলি  (James Tooley) হায়দরাবাদের এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সেই সঙ্গে তরুণীকে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন দিতেও সাহায্য করেন। স্বামীর সঙ্গে ওই তরুণীর শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জানান টুলির স্ত্রী। বিশ্ববিদ্যলয় উপাচার্যের সঙ্গে এক ভারতীয় তরুণীর শারীরিক সম্পর্কের কথা ফাঁস হতেই জেমস টুলিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। গত অক্টোবরেই বরখাস্ত হন তিনি।

শিক্ষা নীতিতে বিশেষজ্ঞ জেমস টুলি ২০২০ সালে বাকিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিযুক্ত হন। ২০২২ সালে দুই সন্তানের মা বছর ৪২-এর সিন্থিয়াকে বিবাহ করেন তিনি। তবে অল্প দিনের মধ্যেই আলাদা হয়ে যায় তাঁদের পথ। নাইজেরিয়ান বাসিন্দা সিন্থিয়া তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন। তিনি জানান, ওই ভারতীয় তরুণী তাঁর ডাইয়েরিতে টুলির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা লিখেছিলেন। তরুণী যখন ১৮ বছর বয়স তখন প্রথম টুলির সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। তাঁর যখন ২১ বছর বয়স, দুজনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক শুরু সেই থেকে। ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। সেই সময়ে জেমসের বয়স ছিল পঞ্চাশের কোটায়।

দরিদ্র সম্প্রদায়ের জন্য স্বল্প খরচে বেসরকারি স্কুল প্রদানের লক্ষ্যে হায়দরাবাদে একটি প্রোজেক্টে এসেছিলেন জেমস টুলি। সেই সময়েই ওই তরুণীর বাবার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। আর সেই থেকেই তরুণীর পড়াশোনার দায়িত্ব নেন টুলি।

তবে নিজের ডায়েরিতে তরুণী জানিয়েছেন, 'এই ডায়রি যে বা যারা দেখছেন তাঁরা বুঝবেন আমি তাঁকে ভালবাসতাম। তাঁর সঙ্গে থাকতে চেয়েছিলাম। তিনি একজন সদয় এবং চিন্তাশীল ব্যক্তি ছিলেন। আমায় যথেষ্ট সম্মান করতেন। লোকে বলবে, তিনি আমায় ব্যবহার করেছেন কারণ তাঁর ক্ষমতা এবং অর্থ আছে। কিন্তু আসলে তা নয়'।

অক্টোবরে স্বামী তথা বাকিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের ঝুলি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হাজির হন সিন্থিয়া। অভিযোগের ভিত্তিতে সাময়িকভাবে উপাচার্যের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে টুলিকে। পাশাপাশি অভিযোগ খতিয়ে দেখা জন্যে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।