পাকিস্তানে শতাব্দী প্রাচীন গুরু নানক প্যালেস ভেঙে চুরি, হুঁশ নেই প্রশাসনের
ধ্বংসপ্রাপ্ত গুরুনানক প্যালেস(Photo Credit: Twitter)

লাহোর, ২৮ মে: লাহোরে( Lahore) ৪০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী গুরু নানক প্যালেসকে(Guru Nanak Palace) এক লহমায় গুঁড়িয়ে দিল দুষ্কৃতীরা। তারপর ছিঁচকে চুরির কায়দায় খুলে নিয়ে গেল প্যালেসের দরজা জানলা। দামী কাঠের সেসব দরজা জানলায় ছিল সুন্দর কারুকার্য। ইতিমধ্যেই চুরির জিনিস হাতবদলও হয়ে গিয়েছে বলে খবর। মজার বিষয় হল, এত কিছু ঘটলেও তানিয়ে পাকিস্তান(Pakistan) সরকারের তেমন কোনও মাথাব্যথা নেই। প্রশাসনিক কর্তাদের অনেকেই জানেন না এই গুরু নানক প্যালেসের দেখভালের দায়িত্বে কারা রয়েছে। তবে এলাকার পুরনো ম্যাপ দেখলে কিছু জানা যেতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।

দেশভাগের সময় পাকিস্তান থেকে হিন্দু ও শিখরা ভারতে চলে এলে, তাদের ফেলে আসা সম্পত্তির তদারকির জন্য বিশেষ ইভাকুই ট্রাস্ট প্রপার্টি বোর্ড (ইটিপিবি) রয়েছে পাকিস্তানে। বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ‘ডন’। কিন্তু কাদের হাতে গুরুদ্বারটির পরিচালনার ভার ছিল, তার কোনও রেকর্ড মেলেনি। রাজস্ব বিভাগের কাছেও গুরুদ্বারটি সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই বলে জানান নরোয়ালের ডেপুটি কমিশনার ওয়াহিদ আসগর। তবে পুরসভার রেকর্ড খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। ইটিপিবি-র সিয়ালকোট জোনের আর এক আধিকারিক রানা ওয়াহিদ জানান,  বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই গুরুদ্বারটি ইটিপিবি-র সম্পত্তি হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে স্থানীয়দের দাবি ওয়াকফ বোর্ডের(Auqaf department) নির্দেশেই এই প্যালেসের ধ্বংস সাধন ঘটেছে। ওয়াকফ বোর্ডের সম্মতিতে প্রভাবশালীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। বিল্ডিং ভেঙে ইতিমধ্যেই নতুন নির্মাণকাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, ওয়াকফ বোর্ডকে গুরুদ্বার ভাঙার খবর দেওয়া সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া তো দূর, কোনও অফিসার ঘটনাস্থলে আসার প্রয়োজন বোধ করেননি। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ইতিমধ্যেই বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এটিকে প্যালেস অব বাবা গুরু নানক বলা হয়। স্থানীয়রা বলে মহলান। ভারত তো বটেই, অন্য অনেক দেশ থেকেও শিখ ধর্মাবলম্বীদের আনাগোনা লেগে থাকত। কানাডা থেকে ছ’জনের একটি প্রতিনিধি দলও একবার গুরু নানক প্যালেস পরিদর্শনে আসে।