প্রতীকী ছবি (Photo Credit: File Photo)

কলকাতা, ৪ নভেম্বর: ভোর হলে হেমন্তের শিরশিরানি হাওয়া শীতের আহ্বায়ক হয়ে ওঠে। তবে সেই আহ্বানের মধ্যে বাদ সেধে ইতিমধ্যেই ভিলেনের আসনটি দখল করে ফেলেছে নিম্নচাপ। শোনা যাচ্ছে,  পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়েছে যা শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিতে চলেছে। আজ সোমবার থেকেই রাজ্যের আকাঝদুড়ে মেঘের ঘনঘটা বাড়বে। এমনটা শুরু হলেই পাল্লা দিয়ে বাতাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও বাড়তে থাকবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা। ফল, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে দু’-তিন ডিগ্রি বেড়ে যেতে পারে। এদিন আলিপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.৬ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। গত কয়েকদিন ধরে আকাশ পরিষ্কার থাকায় শুকনো হাওয়ার আনাগোনা অব্যাহত ছিল।

যার জেরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছিল স্বাভাবিকের আশপাশে। কিন্তু নিম্নচাপের ধাক্কায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে শীতের দফারফা হওয়ার সম্ভাবনা পুরোদস্তুর। আসলে শীত নির্ভর করে উত্তুরে হাওয়ার উপর। উত্তুরে হাওয়ার গতি যত বাড়বে রাজ্যে শীতের দাপটও তত বাড়বে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, নিম্নচাপ বা ঘূর্ণাবর্তের জন্য গোসাঘরে খিল দেয় উত্তুরে হাওয়া। সমুদ্র থেকে গরম হাওয়া ঢুকে স্থলভূমির উত্তাপ বাড়ায়। এমনই পরিস্থিতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই নিম্নচাপের প্রভাবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে রাতের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে। ফলে কয়েকদিন ধরে সকালের দিকে যে শিরশিরানি অনুভূত হচ্ছিল, তাতে ছেদ পড়বে। আরও পড়ুন-বাঁকুড়ায় জোড়া খুন, গৃহবধূ ও সরকারি কর্মীকে কুপিয়ে বেপাত্তা যুবক

হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী শীতের আমেজ অনুভূত হলেও এই মুহূর্তে হাড়-কাঁপানো ঠান্ডার পরিস্থিতি তৈরি হবে না। তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ডিসেম্বরের মাঝ বরাবর। তবে নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে ফের শীতের আমেজ অনুভূত হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও নিম্নচাপের জেরে চলতি সপ্তাহে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে যাবে বলেই মনে করছে আবহাওয়াবিদদের একাংশ। তাই শীতের পথে বড় বাধা হয়ে দেখাদেবে নিম্নচাপ।