ঘটনাস্থলে পুলিশ(Photo Credit: ANI Twitter)

ভাটপাড়া, ২৫ জুলাই:  জ্বলন্ত ভাটপাড়ায় এবার বোমা পড়ল অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) বাড়িতেই। গোটা ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত নটা নাগাদ। অর্জুনের ভাইপো সৌরভ সিং (Saurabh Singh) ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান। রাতে বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা পড়তেই তিনি বেরিয়ে আসেন।বাইরে বেরোতেই শুরু হয় ফায়ারিং। অভিযোগ, প্রায় সাত থেকে আট রাউন্ড গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। এরপর বাইকে করে পালিয়ে যায় সৌরভ সিং বলেন, “আমিই ওদের টার্গেট ছিলাম। হেরে গিয়ে তৃণমূল এসব করছে।” আরও পড়ুন-ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইট জাল করে প্রতারণা, শ্যামনগরে ধৃত মূল চক্রী

এরপরই তৃণমূল আশ্রতি দুষ্কৃতী সঞ্জয় সিং, প্রমোদ সিং, নবনীত সিং এবং রঞ্জিত সিংয়ের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় ভাটপাড়া থানার পুলিশ।এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নামানো হয়েছে র‍্যাফ এবং কমব্যাট ফোর্সও। যদিও এই ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি, পাশাপাশি অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে বোমা মারার অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই বারবার উত্তপ্ত হয়েছে বিধানসভার ভাটপাড়া, কাঁকিনাড়া সহ একাধিক এলাকা। মুড়িমুড়কির মতো বোমা পড়া কিংবা যখন-তখন গুলি চলা ভাটপাড়া-কাঁকিনাড়ার রোজকার ব্যাপার হয়ে গিয়েছে। কদিন আগে একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “বিজেপি-কে ভোট দিলে কী হয় দেখছেন তো? ওই যে ভাটপাড়া দেখছেন না!” কিন্তু ভাটপাড়ায় হিংসার দায় বিজেপির উপর চাপানোর চেষ্টা করলেও এবার শাসক দল তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।

২১ জুলাইয়ের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরেই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলে বলেন, উনি তো বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও। রাজ্যের প্রশাসনের প্রধান। গত দু’মাসে ১৭ জন মানুষের প্রাণ গিয়েছে ভাটপাড়ায়। প্রকাশ্যে চলছে গুলি-বোমা। রাজনীতির আশপাশে না থাকা মানুষ পোকামাকড়ের মতো মারা যাচ্ছে। মেয়েদের শ্লীলতাহানি হচ্ছে। বাড়িঘর, দোকানপাট লুট হচ্ছে, আগুন জ্বলছে। রাজনৈতিক সংঘর্ষ এখন ধর্মীয় সংঘর্ষের আকার নিয়েছে। দুষ্কৃতীরা নাকি হামলা চালাচ্ছে অহরহ তাহলে পুলিশ সেখানে কী করছে?