অশান্ত নেপাল (Nepal)। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুবসমাজের প্রতিবাদে দেশ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। ভাঙচুড় করা হয়েছে সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রী বাসভবন। একাধিক শাসক দলের নেতামন্ত্রী আক্রান্ত। বন্ধ কাঠমান্ডু বিমানবন্দক, গুরুত্বপূর্ণ। দেশজুড়ে জারি কার্ফু। এই অবস্থায় পড়শি দেশের অশান্তির আঁচ যাতে ভারতে না পড়ে, সেদিকে নজর রয়েছে কেন্দ্র সরকারের। ভারত-নেপাল সীমান্তে সোমবার বিকেল থেকে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। এই অবস্থায় বুধবার দার্জিলিংয়ের পানিট্যাঙ্কিতে সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)।

কী বললেন রাজ্যপাল?

এদিন পরিদর্শনে এসে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। সীমান্ত পরিদর্শনের পর রাজ্যপাল জানান, “সীমান্তে শান্তি রয়েছে। এসএসবি-র জওয়ানরা তাঁদের দায়িত্ব ভালোভাবেই পালন করছেন। যার ফলে এখানে শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ রয়েছে। নেপালের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আর প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে কীভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা উচিত, সেটা ভারত সরকার ভালোভাবেই জানে”।

দেখুন সিভি আনন্দ বোসের মন্তব্য

১৯ জনের মৃত্যু

প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিন ধরেই বিক্ষিপ্ত অশান্তি হচ্ছিল নেপালে। মূলত ২৬টি সোশাল মিডিয়া নিষিদ্ধ ঘোষণার পর থেকেই সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করে নেপালের জনগণ। গত সোমবার এই ইস্যু এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামে জেন-জি সংগঠন। আর এই প্রতিবাদই রণক্ষেত্র আকার ধারণ করে। প্রধানমন্ত্রী ওলির নির্দেশে নির্বিচারে গুলি চলে বিক্ষোভকারীদের ওপর। যার ফলে মৃত্যু হয়েছে ১৯ তরুণের। আহত তিনশোরও বেশি। এই ঘটনার পরেই পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি।