বোলপুর, ২৪ ডিসেম্বর: অশান্তির মেঘ কাটিয়ে আজ থেকে শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan) শুরু হল পৌষ মেলা (Poush Mela)। মঙ্গলবার ভোর থেকেই শান্তিনিকেতন গৃহ থেকে ভেসে আসা সানাইয়ের সুর...ছাতিমতলায় উপাসনা দিয়ে ভুবনডাঙায় শুরু শীতের উৎসব। এদিন সকাল সাড়ে সাতটায় উপাসনায় অংশ নেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বিদ্যুৎকুমার চক্রবর্তী, প্রাক্তন আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর প্রমূখ। ‘মোরে ডাকি লয়ে যাও মুক্ত দ্বারে’ সঙ্গীতে বৈতালিক এবং উপাসনার মধ্যে দিয়ে ১২৫তম পৌষমেলা শুরু হয়ে গেল শান্তিনিকেতনে।
১৮৯৪ সাল থেকে ১৯২১ সাল পর্যন্ত এই পৌষমেলা হত একদিনের। ১৯২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় (University) তৈরি হওয়ার পর ১৯৬১ সাল অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথের (Rabindranath Tagore) শতবর্ষ পর্যন্ত মেলা হত দু’দিনের। আর তখনই মেলা পূর্বপল্লির মাঠে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৯৬১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মূল মেলা হত তিন দিনের। পরে ভাঙা মেলা থাকত আরও বেশ কয়েক দিন। ২০১৬ সালে পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে তিনদিনের মেলা শেষ হতেই মাঠ খালি করে দিতে হয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে। এবার সেই মেলায় চারদিনের ছাড়পত্র মিলেছে। ইতিমধ্যেই জমজমাট গোটা শান্তিনিকেতন। পর্যটকদের ভিড়ও শুরু হয়ে গেছে। মেলার মাঠে নানা পসরা নিয়ে বসে পড়েছেন দোকানিরা। প্রথা মেনে হাজির বাউল, কীর্তন, রাইবেশে-সহ অন্য লোকশিল্পীরা। আরও পড়ুন: Christmas 2019: কলকাতার সাহেবপাড়া ছিল পার্কস্ট্রিট, তখন থেকেই বড়দিনে কলকাতার ঠিকানা মধ্য কলকাতার এই চৌহদ্দি
বিশ্বভারতী ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার এই প্রসঙ্গে বলেন, “১৮৯৪ সালে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর (Debendranath Tagore) যখন জোড়াসাঁকোয় শয্যাশায়ী, তখন তাঁরই নির্দেশে তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, ভাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপস্থিতিতে ৭ই পৌষ উপাসনা গৃহের উদ্বোধন করেন। সেই উপলক্ষে কাচঘর সংলগ্ন মাঠে বসে এক দিনের মেলা। সেই শুরু পৌষমেলা। তখন ইলেকট্রিক আলো ছিল না। দিনের বেলাতেই সারা হত সমস্ত অনুষ্ঠান।”