(Photo Credits: Pexels)

কলকাতা, ১০ ডিসেম্বর: করোনার থাবায় প্রায় ১০ মাস হল বন্ধ স্কুল কলেজ। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে এখন অনলাইন ক্লাস চলছে। তবে তাতেও পড়ুয়ারা ঠিকঠাক পঠনপাঠনের মধ্যে রয়েছে কি না তানিয়ে অভিভাবকরাও সন্দিহান। সামনে বোর্ডের পরীক্ষা থাকলে সেসব পড়ুয়ার বাবা-মায়েদের চিন্তার অন্ত নেই। এদিকে দিন যত যাচ্ছে ততই করোনা পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার রমরমা বাড়লেও এখনও বহু প্রান্তিক পরিবারে ইন্টারনেট সংযোগ দূরের কথা, নেই একটা স্মার্টফোনও। তাই সব পড়ুয়ারা অনলাইন ক্লাসের সুযোগ পাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে নতুন বছর শুরু হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে আগেভাগেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাস কমিয়ে দিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। এবার কমল একাদশ শ্রেণির সিলেবাসও (slashed class-XI syllabus)।

বৃহস্পতিবার উচ্চমাধ্যমিক পর্ষদের তরফে একাদশ শ্রেণির সিলেবাসের প্রায় ৩০-৩৫ শতাংশ ছেঁটে ফেলা হল। মূলত ২০২১-এর বার্ষিক পরীক্ষার কথা চিন্তা করেই একাদশ শ্রেণির পাঠক্রম কমিয়ে দেওয়া হল। এই প্রসঙ্গে পর্ষদের তরফে এক কর্তা জানিয়েছেন, “তবে যেসব ক্ষেত্রে নম্বর ৬০ অথবা তার কম সেসব পাঠক্রমে কোনও বদল আসছে না। এর মধ্যে রয়েছে মিউজিক, শারীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ভিস্যুয়াল আর্টস ও বৃত্তিমূলক বিষয়।” কোন কোন বিষয়ের পাঠক্রম কমানো হয়েছে, তা পর্ষদের পোর্টালে বিশদে বর্ণনা করা হয়েছে। পড়ুয়ারা অনলাইনে তা চেক করে নিতে পারে। আরও পড়ুন-Uttar Pradesh: ধর্ষণের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় কিশোরীকে বহুতলের ছাদ থেকে ছুঁড়ে ফেলল যুবক

এই প্রসঙ্গে রাজ্যের সরকারি স্কুলের এক শিক্ষক জানিয়েছেন, প্রতিবছর পর্ষদ একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করে। যার মূল্যায়ণ হয় স্কুলেই। তবে পর্ষদের এই পাঠক্রম কমানোর সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শিক্ষক ও পড়ুয়ারা। তবে আগেভাগে পরীক্ষার সূচি জানিয়ে দেওয়াও খুব জরুরি। কারণ বার্ষিক পরীক্ষার প্রসঙ্গ উঠলেই পড়ুয়াদের অতিরিক্ত মানসিক চাপও পড়ে যায়। প্রস্তুতির ব্যাপার তো রয়েইছে।