শীতলকুচি, ৭ এপ্রিল: কোচবিহারের শীতলকুচিতে (Sitalkuchi) বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) গাড়িতে হামলা। তাঁর গাড়ির জানালার কাচ ভেঙে গেছে। সভা সেরে ফেরার পথে এই হামলা করা হয় বলে অভিযোগ বিজেপির। লাঠি নিয়ে কনভয়ে হামলা চালানো হয়। বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুরের পর ব্যাপক বোমাবাজি করা হয় হলেও অভিযোগ দিলীপ ঘোষের। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ বিজেপির।
দিলীপ ঘোষ বলেন, প্রায় ১০০-র বেশি লোক ঘিরে ধরেন। একইসঙ্গে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তিনি বলেন, আজ যে ভয়ঙ্কর ঘটনার মুখোমুখি হতে হল তা আমার জীবন অভিনব। গত ৫ বছরে বিভিন্ন আক্রমণ হয়েছে, বিভিন্ন পরিস্থিতির মুখে পড়েছি। তবে নির্বাচন কমিশনের আওতাতে আইনশৃঙ্খলা থাকাকালীন এই ঘটনা প্রথম। সভাতে আক্রমণ, সভার পরে বোমা, বন্দুক নিয়ে আক্রমণ। আমার গাড়িতে বোমা লেগেছে। জানাল কাচ গুঁড়ো হয়ে গেছে। আদলা ইট আমার হাতে এসে লেগেছে। মাঠের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম। লাঠি, বোমা, বন্দুক নিয়ে আক্রমণ হয়েছে। হাতে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে আক্রমণ করা হয়েছে। এ তো একেবারে তালিবানদের মতো অবস্থা। মানুষের জীবনে কোনও সুরক্ষা নেই। এই দৃশ্য দেখার পর এখানকার ভোটাররা ভোট দিতে বের হবেন কি না তা জানি না।
দিলীপবাবু বলেন, "এই দৃশ্য দেখার পর এখানকার ভোটাররা ভোট দিতে বের হবেন কি না তা জানি না। আর যদি সেটাই হয় তবে এই নির্বাচনের কোনও মানেই হয় না। কমিশন ব্যবস্থা না নিলে কোচবিহার জেলাতে কোনও নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হবে না। গণতান্ত্রিকভাবে পরিবর্তন হওয়ার পরেও এখানকার পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। নির্বাচন কমিশনও সঠিক ব্যবস্থা নিতে পারেনি। জীবন হাতে নিয়ে এখানে সভা করতে হচ্ছে। হেলিকপ্টারে এসেছি, না হলে আগেই আক্রমণ হত।"
এদিকে এই বিষয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, এই ঘটনা আদি বিজেপি এবং নব্য বিজেপির সংঘাতের জেরে ঘটেছে।