কলকাতা, ২৮ জুলাই: প্রতিবেশি রাজ্য বিহার, অসমের বিস্তীর্ণ অংশ যখন বন্যাপ্লাবিত, তখন ঘেমো গরমে জর্জরিত দক্ষিণবঙ্গ। নিয়ম মেনে জুনের প্রথমদিকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হলেও শহর কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গের ভাগ্যে শিখে ছেঁড়েনি। যদিও পশ্চিমের জেলাগুলিতে অল্প বিস্তর বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। কিন্তু দুই ২৪ পরগনা ও কলকাতায় প্যাচপেচে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল জনজীবন। বৃষ্টি শুরু হতে না হতেই লাগাতার বজ্রপাতে স্বস্তির তুলনায় ভয় বেড়েছে। সোমবার ঘন মেঘে ঢাকা থাকলেও বৃষ্টিকে সেভাবে দেখা যায়নি। তবে বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় অস্বস্তি বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। একই অবস্থা মঙ্গলবারেও। তবে দুপুর গড়াতেই ঝমঝমিয়ে আসে মুষলধারায় বৃষ্টি (Rain fall)।
আলিপুরের হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসকে সত্যি করে এখনও চলছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা থাকবে। এদিন সকালেই আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানানো হয়, আজ হুগলী, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, কলকাতা এবং দুই চব্বিশ পরগনায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলেও বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ বজয়া থাকায় অস্বস্তি কাটবে না। আজ দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর। সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের তুলনায় ১ ডিগ্রি বেশি। গতকাল সন্ধ্যায় শহরের তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৬২ থেকে ৯৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১৪.৩ মিলিমিটার। গতকাল বাজ পড়ে পূর্ব বর্ধমানে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। আরও পড়ুন-MP CM Shivraj Singh Chouhan: হাসপাতালে নিজের পোশাক নিজেই কাচছেন কোভিড আক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রী, দেখুন ভিডিও
আগামী কয়েকদিন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় রয়েছে হলুদ সতর্কতা। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং কালিম্পঙে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়াও মালদা এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। লাগাতার বর্ষণের জেরে উত্তরের নদীগুলিতে ক্রমশ বাড়ছে জলের মাত্রা। তবে বন্যার পাশাপাশি ভূমিধসের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।