কলকাতা, ২৪ মে: দীর্ঘ দু'মাস লকডাউনের (Lockdown) জেরে কিছুটা হলেও কমেছিল সব্জির দাম। কিন্তু একদিনের ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের (Amphan) তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে চাষীদের জমি। যার ফলে আকাশছোঁয়া সব্জির (Vegetables) দাম। যারফলে মাথায় হাত মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্তের। এমনিতেই লকডাউনে কাজ বন্ধ অধিকাংশের। অল্পবিস্তর জমানো সঞ্চয় ভেঙে পেট চলছিল। মাছ, মাংস তো ছোঁয়া দায়, সব্জির ওপরই যারা বেঁচেছিলেন তাদের হেঁশেলে পড়েছে টান।
গড়ে প্রতিটি সব্জির দাম ৫০ শতাংশ বেশি বেড়েছে। কাঁচালঙ্কা যা প্রায় সব রান্নায় লাগে, তার দাম বেড়েছে ১০০ শতাংশ।তবে দাম বাড়েনি আলু এবং পেঁয়াজের। ক্রেতা-বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, দু’দিন আগেও সব্জির দাম ছিল সকলের নাগালে। তবে শনিবার তা অনেকের হাতের বাইরে চলে যায়। চলতি সপ্তাহের শুরুতে বাজারে পটলের দাম ছিল ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি। এ দিন সেই পটল বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা করে। গত সপ্তাহেই ঢেঁড়সের দাম ছিল ১৫ টাকা, বেগুন ২৫ টাকা, ঝিঙে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, লঙ্কার দাম ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা প্রতি কেজি। শনিবার ঢেঁড়স ২৫ টাকা, বেগুন ৩৫ টাকা, ঝিঙে ৪০ টাকা, কাঁচালঙ্কা ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। আরও পড়ুন, বিদ্যুৎ নেই, জল নেই; রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ-রাস্তা অবরোধ
এই সময়ের খবর অনুযায়ী, কোলে মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মূলত যে সব জেলা থেকে শহরে আনাজ আসে, তার বেশির ভাগই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অধিকাংশ চাষের জমি জলের তলায়। কোথাও ফসল উড়ে জমি বিলকুল ফাঁকা। ফলে জেলা থেকে সব্জি আসতে পারেনি শহরের বাজারগুলিতে। শুধু তা-ই নয়, সোমবারের মধ্যে যদি জমির জল না-নামে, তা হলে আনাজের দাম আরও বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বিক্রেতারা।
কোলে মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কমল দে বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যেও বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিন ২৫০ ট্রাক সব্জি আসত। কিন্তু বৃহস্পতিবার মাত্র ৫০ ট্রাক এসেছে। শুক্রবার এসেছে ১২০ গাড়ি। এর মধ্যে ঝড়ের রাতে রাস্তায় আটকে থাকা গাড়িও ছিল। শনিবার আনাজের দাম যা বেড়েছে, সেটাই শেষ নয়। তিনি আরও জানান, সোমবারের মধ্যে জলে ডুবে যাওয়া সব্জির ক্ষেত বাঁচানো না-গেলে এই দাম আরও বাড়বে।’