Representative Image (Photo Credit: File)

আবারও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল মধ্যমগ্রামে (Madhyamgram)। এবার একই বাড়ি থেকে উদ্ধার হল এক কন্যাসন্তান ও এক তরুণীর মৃতদেহ। সম্পর্কে তাঁরা মা-মেয়ে। স্থানীয় বাসিন্দারাই ঘরের দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করে।  এরপর খবর দেওয়া হয় মধ্যমগ্রাম থানায়। স্থানীয় একটি বেসরকারী হাসপাতালে দুজনকে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মা-মেয়ের দেহ ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। তবে তাঁদের মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়। ঘটনাটি ঘিরে ঘনিয়েছে রহস্য।

দাম্পত্য জীবনে ছিল না অশান্তি

পরিবারের দাবি, বছর সাতেক আগে প্রসেনজিৎ রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মধুমিতা রায়ের। বিয়ের পর দুই বছরের মাথায় তাঁদের প্রশংসা রায়ের জন্ম হয়। এই পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই মধ্যমগ্রামের দোহারিয়ার শৈলেশ নগর দূর্গা মণ্ডপ এলাকায় ভাড়া থাকতেন। প্রসেনজিৎ পিচবোর্ড কারখানায় কাজ করতেন। যদিও বিয়ের পর থেকে তাঁদের দাম্পত্য জীবনে কোনও সমস্যাই ছিল না। ফলে আত্মহত্যা যদি করেও থাকলে তাহলে তাঁর কারণ স্পষ্ট নয়।

স্বামীর সঙ্গে ফোনেও কথা হয়েছিল মহিলার

জানা যাচ্ছে, ঘটনার দিন রাতে ডিউটিতে থাকাকালীন ফোনে প্রসেনজিতের সঙ্গে কথা হয় মধুমিতার। তারপরে কোনও এক দরকারে আবারও ফোন করেন মহিলার স্বামী। তারপর থেকেই ফোন ধরছিল না সে। এরপর যুবক বাড়ির পাশে থাকা এক মুদিখানায় ফোন করলে দোকানের মালিক বাড়ি গিয়ে দেখে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। এবং ডাকাডাকিতেও সারা দিচ্ছে না। তখন স্থানীয় বাসিন্দাদের চেষ্টায় দরজা ভেঙে ভেতরে দেখে মাটি ও খাটে দেহ পড়ে রয়েছে মা-মেয়ের দেহ।

উদ্ধার সুইসাইড নোট

পুলিশসূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে মেয়েকে বিষ খাইয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন মা। তবে তাঁদের দেহ থেকে কেরোসিনের গন্ধও বেরোচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ঘরে তল্লাশি চালাতে গিয়ে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। ফলে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না এলে বোঝা যাবে না মৃত্যুর আসল কারণ। যদিও মধুমিতার স্বামীকে ইতিমধ্যেই জেরা শুরু করেছে পুলিশ