কলকাতা, ১৮ নভেম্বর: কলকাতা পুরসভার নির্বাচনের (Kolkata Municipal Corporation Election) ডঙ্কা বেজে গেছে। কলাকাতা হাইকোর্টের সম্মতি মিললেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন পুরভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করবে। তবে এবার পুরভোটে বিশেষ নীতি নিয়ে চলছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। কোনওভাবেই বয়স্ক ও অসুস্থ কাউন্সিলরদের আসন্ন পুরভোটের টিকিট দেওয়া হবে না। শহর কলকাতার মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে তরুণ তুর্কিদের উপরেই ভরসা করতে হবে শাসকদলকে। এমনটাই মত ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের। অসুস্থ ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরদের তুলনায় তরুণ কর্মঠ কাউন্সিলররাই বাসিন্দাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবেন। কারণ তাঁরা অনেক তৎপরতার সঙ্গে উন্নয়নের কাজ শেষ করবেন। আরও পড়ুন- Tathagat Roy Attacks BJP: পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ভবিষ্য়ৎ অন্ধকার? বোমা ফাটালেন তথাগত রায়
এদিকে কলকাতার আসন্ন পুরভোটে প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধীরা সেই অর্থে ঠিকমতো প্রার্থী বাছাই করতে পারছে না। একাজে তৃণমূলের তরফে বড়ো ভূমিকা পালন করছে আইপ্যাক। তাই এবারের পুরভোটে শাসকদলের তরফে দেখা যাবে এক ঝাঁক নতুন মুখকে। তাদের উপরেই ভরসা করে পুরভোটে নামবে জোড়াপুল শিবির।
এদিকে পূর্বতন কাউন্সিলরদের মধ্যে যাঁরা বাদ পড়ছেন। তাঁদের অনেকের আগেই মৃত্যু হয়েছে। তারপরে যে এমন সিদ্ধান্ত, তা নয়। পুরভোটে অল্পবয়সী নতুন মুখকে সামনে রেখে শহরবাসীর ভরসা হতে চাই ছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবারে কাউন্সিলরের টিকিট পাচ্ছেন না সেই তালিকায় রয়েছেন, ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের সত্যেন দে, ৫৫ ওয়ার্ডের অরুণ দে, ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের ইকবাল আহমেদ, ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজনলাল মুখোপাধ্যায়, ৭৯ ওয়ার্ডের রাম পেয়ারে রাম, ৮৩ ওয়ার্ডের মঞ্জুশ্রী মজুমদার, ৮৯ ওয়ার্ডের মমতা মজুমদার, ১০০ ওয়ার্ডের সুস্মিতা দাম এবং ১২৬ নম্বর ওয়ার্ডের শিপ্রা ঘটক।