যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ওয়েবকুপারে যোগ দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢোকা থেকে শুরু করে বেরোনো পর্যন্ত দফায় দফায় প্রতিবাদীদের হামলার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। এমনকী তাঁকে অসুস্থ অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালেও ভর্তি করানো হয়েছিল। আহত হন তাঁর দেহরক্ষীও। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে কতটা ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি, তার প্রমাণ পাওয়া গেল তাঁর গাড়ির দশা দেখেই। সবথেকে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে গাড়ির সামনের কাঁচ। এছাড়া গাড়ির চাকার হাওয়া বের করে দিয়েছিল হামলাকারীরা। এমনকী গাড়ি যখন শিক্ষামন্ত্রীকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরোচ্ছিল, তখনও হামলা চালানো হয়।

সিপিএমকে কড়া ভাষায় আক্রমণ কুণাল ঘোষের

এসএফআইয়ের এই হামলা নিয়ে সরব তৃণমূল নেতৃত্ব। কড়া নিন্দা করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এদিন সন্ধ্যায় মন্ত্রীকে হাসপাতালে দেখতে এসে তিনি বলেন, একজন মন্ত্রী গাড়িতে বসেছেন। তার আগে তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে নির্বাচনের বিষয়টি নিয়ে দেখবেন। তারপরেও গাড়ির ওপর এভাবে হামলা। কাঁচ ভাঙা হয়েছে। যদি বড়সড় কোনও ঘটনা ঘটত তাহলে তার দায় কে নিত? এই ঘটনার পর হামলাকারীদের চিহ্নিত করা উচিত এবং তাঁদের ওপর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আমরা প্রতিহিংসা পরায়ণ নই। তা নাহলে আমরাও জবাব দিতে পারতাম। শিক্ষামন্ত্রী যথেষ্ট সংযত ছিলেন। লাল পতাকা নিয়ে এসএফআইয়ের সঙ্গে মাও ছিল কিনা, সেটা বোঝা মুশকিল। এরকমভাবে যদি মহম্মদ সেলিমের কোনও অনুষ্ঠানে তৃণমূলের ছেলেরা জল বাতাসা নিয়ে যায়, তখন উনি মেনে নিতে পারবেন তো?

দেখুন ব্রাত্য বসুর গাড়ি

ব্রাত্য বসুর ওপর হামলা নিয়ে পাল্টা মন্তব্য মহম্মদ সেলিমের

অন্যদিকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md Salim) এই ঘটনা নিয়ে বলেন, কেন দীর্ঘদিন ধরে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নির্বাচন হয় না? গত ১০-১২ বছর ধরে শিক্ষামন্ত্রী কী করছিলেন? আর আজ যখন তাঁরা এই নিয়ে প্রতিবাদ করতে যায়, তখন তাঁদের ওপর হামলা করা হয়। কেন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে এই ধরনের ঘটনা ঘটল? একসময় বিজেপিতে যখন বাবুল সুপ্রিয় ছিলেন, তখনও এরকম ঘটনা ঘটেছে। আজ ব্রাত্য বসুর গিয়েছে তারপরেও হয়েছে। এগুলি নাটক, পুরোনো স্ক্রিপ্ট।