কসবা ল’ কলেজে গণধর্ষণ কাণ্ডের পর বিরোধীদের আতসকাঁচের নীচে রাজ্যের একাধিক কলেজের ছাত্র ইউনিয়ন এবং তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের নেতারা। বিগত কয়েকদিনে একাধিক সরকারী কলেজের ছাত্রনেতাদের কীর্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। কোথাও দেখা যাচ্ছে ইউনিয়ন রুম তৈরি হয়েছে ম্যাসাজ পার্লারে, কোথাও আবার বেলি ডান্সারের সঙ্গে ছাত্রনেতাকে মদের গ্লাস নিয়ে নাচতে দেখা যাচ্ছে। আর এই ঘটনাগুলি নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ছড়িয়েছে বিতর্ক। সম্প্রতি বেলঘরিয়ায় ভৈরব গাঙ্গুলি কলেজের (Bhairab Ganguly College) ছাত্রনেতা রানা বিশ্বাসের নাচের ভিডিয়ো নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা ঝড়।

অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব

যদিও ভিডিয়োটি নিয়ে পাল্টা সুর চড়িয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। যে তৃণমূল ছাত্রনেতাকে নিয়ে এই অভিযোগ সেই রানা বিশ্বাসের মা কামারহাটি পুরসভার একজন প্রভাবশালী কাউন্সিলর। কলেজের গর্ভনিং বডির সদস্য কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহার অবশ্য দাবি, কলেজে এসব নাচানাচি একটু হতেই পারে। এরমধ্যে কোনও ভুল তিনি দেখছেন না। তবে গ্লাসে মদ ছিল কিনা, সেই বিষয়ে তাঁর জানা নেই। অন্যদিকে খোদ রানা বিশ্বাসের বক্তব্য, “ওই গ্লাসে যে মদ ছিল, তার কোনও প্রমাণ নেই”। এমনকী ভিডিয়োটি কলেজের কোনও ফেস্টের নয় বলেও দাবি করছেন তিনি।

দেখুন মদন মিত্রের বক্তব্য

বিজেপির ওপরেই দায় চাপালেন মদন মিত্র

এদিকে এই ঘটনাকে সরাসরি বিজেপির চক্রান্ত বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। তাঁর দাবি, “এসব আমি বিশ্বাস করি না। তবে খোঁজ নিয়ে দেখব আসলে কী হয়েছে। তবে এসব ঘটনা আমি বা আমার দল সমর্থন করে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এসব বিজেপির চক্রান্ত। এই নিয়ে আমি এখনই কোনও মন্তব্য করব না”।