কলকাতা, ২৯ ফেব্রুয়ারি: অবশেষে পুলিশের জালে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ত্রাস তথা তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। বেড়মজুর থেকেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে শাসক বিরোধী তরজা। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) দাবি, ভারতীয় জনতা পার্টি এবং সন্দেশখালির মা-বোনেদের আন্দোলনের জন্য পুলিশ প্রশাসন বাধ্য হয়ে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছে। প্রথমে তো এই সরকার স্বীকারই করছিল না যে এরকম কোনও ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু পরে আমাদের প্রতিবাদে চাপে মাথা নত করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) দাবি, রাজ্য পুলিশের হাত পা বেধে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) মহামান্য আদালতের নির্দেশের কিছু অংশ তুলে ধরার পরেই ওই বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হয়। তারপরেই রাজ্যপুলিশ তাঁদের কাজ দেখায়। এরজন্য পুলিশ প্রশাসনকে অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু ইডি, সিবিআই তো কিছুই করতে পারল না। এবার কেন্দ্রীয় সংস্থার উচিত নারদা কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত শুভেন্দু অধিকারিকে গ্রেফতার করা, অ্যালকেমিস্ট কাণ্ডে মিঠুন চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করা এবং মহিল কুস্তিগীরদের যৌন হেনস্থার অভিযোগে ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংকে গ্রেফতার করা।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ৫৫ দিন ধরে অধরা ছিল সন্দেশখালির বাহুবলী শেখ শাহজাহান। এদিকে তাঁকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে উত্তপ্ত হয়েছিল সন্দেশখালি। স্থানীয় মহিলাদের থেকে নারী নির্যাতনের মতো ভয়ঙ্কর অভিযোগ যেমন উঠে আসছিল, তেমনই এলাকাবাসীদের থেকে জমি হাতানো সহ একাধিক অভিযোগ উঠছিল। এই নিয়ে প্রতিদিন প্রতিবাদে গর্জে উঠছিল সন্দেশখালি। অবশেষে সেই বেড়মজুর থেকেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। আজ তাঁকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার জন্য বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে।