মুর্শিদাবাদের পর এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা। বৃহষ্পতিবার দুপুরে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় মহেশতলার (Maheshtala) রবীন্দ্রনগর থানা এলাকা। একটি দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে শুরু হয় উত্তেজনা। এরপর দফায় দফায় ছোড়া হয় ইট, পাথর, কাঁচের বোতল। এমনকী স্থানীয় মন্দিরে হামলা করা হয়। ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা হয় মন্দিরের তুলসী মঞ্চ। এই হামলায় আক্রান্ত হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীও। বর্তমানে এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী। তারপরেও এলাকা এখনও থমথমে। এই নিয়ে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির নেতারা প্রতিবাদ শুরু করেছেন। যদিও ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করছে রাজ্যের শাসক দলের নেতারা।
মহেশতলার ঘটনা নিয়ে কুণাল ঘোষের বক্তব্য
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ মন্তব্য করেছেন। তাঁর মতে, এটা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। মহেশতলার ঘটনার সঙ্গে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার কোনও সম্পর্ক নেই। তবে যা হয়েছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এই ঘটনা নিয়ে সকলেই কড়া নিন্দা করেছেন। গোটা বিষয়টি পুলিশ দেখছে। এই ঘটনায় পুলিশও আহত হয়েছেন। তবে পুলিশ অত্যন্ত দায়িত্বশীল আচরণ করেছে। পুলিশ এমন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি যে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। তবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলের রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা প্ররোচনামূলক পোস্ট বা মন্তব্য কেন করছেন?
দেখুন কুণাল ঘোষের মন্তব্য
Watch: On the Maheshtala incident, TMC leader Kunal Ghosh says, "This incident has nothing to do with law and order, but what happened is unfortunate..." pic.twitter.com/NzMUpQaSRj
— IANS (@ians_india) June 11, 2025
শুভেন্দু অধিকারীদের প্রতিবাদ
প্রসঙ্গত, মহেশতলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার চুড়ান্তভাবে ব্যর্থ। বিধানসভার পর ভবানী ভবনের সামনেও বিক্ষোভ দেখান তিনি। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির নেতাকর্মীরা।