
গতকালের অশান্তির পর এখনও থমথমে রয়েছে মহেশতলার (Maheshtala violence) রবীন্দ্রনগর। এলাকায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। গোটা এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী। বৃহস্পতিবারের ঘটনা নিয়ে এখনও তুঙ্গে রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই মহেশতলার ঘটনা নিয়ে হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই ঘটনা নিয়ে এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী। অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার হাতে তুলসি গাছ নিয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল করছেন।
মহেশতলার ঘটনা নিয়ে সুকান্ত মজুমদারের প্রতিক্রিয়া
তিনি বলেন, “মহেশতলার ঘটনা অত্যন্ত নিন্দাজনক। মহেশতলা, হাওড়া, মালদা, মুর্শিদাবাদ যেখানেই এইধরনের ঘটনা ঘটে, সেখানেই পুলিশের সামনে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করা হয়। আগামীদিনে পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ বানানোর পরিকল্পনা করছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এই ঘটনায় পুলিশ পুরোপুরি চুপ ছিল। পুলিশ দাঙ্গাবাজদের সামনে গিয়ে হাত-পা জোড় করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার ভিক্ষা চাইছেন। তাঁদের সামনে সাদা রুমাল ওড়াচ্ছেন। এভাবে দাঙ্গা রোখা যায়”?
দেখুন সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য
Kolkata, West Bengal: On Maheshtala violence, BJP State President and Union Minister Sukanta Majumdar says, "What happened in Maheshtala yesterday, the kind of attack on Hindus, is deeply shameful... Mamata Banerjee and her police are attempting to transform West Bengal into… pic.twitter.com/aXcTaO9rug
— IANS (@ians_india) June 12, 2025
ভোটব্যাঙ্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
সুকান্ত আরও বলেন, “পুলিশ যদি একটা গুলি চালাত, তাহলে পরিস্থিতি অনেক আগেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসত। তাঁদের বন্দুকে কী গুলি থাকে না? দুটি গুলি চালালেই সবাই পালিয়ে যেত। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেশি প্রয়োজন মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক। সেই কারণে গুলি চালাতে বা লাঠিচার্জ করতে নিষেধ করা হয়ছিল। আসলে জামাতদের হাতে বাংলার লিজ দিয়ে রেথেছে রাজ্য সরকার”।